মানুষের চামড়ায় বই বাঁধাই!

বইয়ের যুগেও লেদার বা চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি এবং মর্যাদাপূর্ণ। বই বাঁধাই শিল্পে বিভিন্ন পশুর চামড়াই বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বই বাঁধাই শিল্পীদের কাছে পশুর চামড়ার বই বাঁধাই কারুশিল্প বলেই পরিচিত। তবে এক সময়ে মানুষের চামড়া ব্যবহার করে বাঁধানো হতো বই। একে বলা হতো ‘অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’। ইউরোপ ও আমেরিকায় সেই সময় মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধানো হতো। অ্যান্থ্রোপোডার্মিক বুক প্রোজেক্ট নামের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ছড়িয়ে রয়েছে এমন বই।

বিভিন্ন গ্রন্থাগারের ৫০টি বইকে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বলে সন্দেহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে সন্দেহভুক্ত বইয়ের মধ্যে ১৮টি বই মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এ সব বাঁধাইকর্ম সংঘটিত হয়েছিল ১৮ থেকে ১৯ শতকের দিকে। ইংরেজ গ্রন্থ বিশেষজ্ঞ ব্রুক-হিচিং এর সমীক্ষায় জানা যায় তখনকার সময়ে দুই ধরনের বই বাঁধানো হতো। বিভিন্ন অপরাধভিত্তিক কেস স্টাডি এবং চিকিৎসাবিদ্যা সংশ্লিষ্ট বইপত্র।

বার্তাবাজার/আর এম সা

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর