২ সপ্তাহ পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ‌্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সেকারণে দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। তারা চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছে। এই মুহূর্তে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংক্রমণ কমানো। যেন শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংক্রমণ কমানোর জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে পরিবহন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক লোক চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। যারা অনুষ্ঠানে যাবে, তাদের টিকার সদন এবং করোনা পরীক্ষা করা থাকতে হবে। যানবাহনে ওঠার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রয়োজন হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিধিনিষেধ দিতে পারে, কিন্তু মানার দায়িত্ব জনগণের। জনগণই পারবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চালিয়ে নিতে। জনগণ ইচ্ছা করলে সবই সম্ভব। তাদের ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে আমরা কত তাড়াতাড়ি এই সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। কয়েক ধাপে ছুটি বাড়িয়ে প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়।

দীর্ঘ এই সময়ে টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস চালু রাখা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়ায় আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি আলোচনায় আসে। অবশ্য শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে সীমিত পরিসরে শ্রেণি পাঠদান চালুর কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর