বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন কক্সবাজারে ৩ এপিবিএন কর্মকর্তা
মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শৃংখলা ও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন কর্মকর্তা সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ভূষিত হয়েছে।
প্রতিবছরই পুলিশে সাহসিকতা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চার ধরনের পদক দেয়া হয়৷ পদ গুলো হলো: বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (সেবা)৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজুম মুনিরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ ঘোষণা জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন মতে, গেলো ২০২১ সালে অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এ ভূষিত করা হয়েছে। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ দমন, কর্তব্যনিষ্টা, সততা ও শৃংখলা মূলক আচরণের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ভূষিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ভূষিত এপিবিএন কর্মকর্তারা হলেন, উখিয়ার ১৪-এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক ও টেকনাফের ১৬-এপিবিএন এর অধিনায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম। এছাড়াও বিপিএম পদকে ভূষিত হয়েছেন উখিয়ায় কর্মরত ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান।
সূত্র জানায়, আগামী ২৩ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ সপ্তাহে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের হাতে এসব পদক তুলে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পদক ভূষিত কর্মকর্তারা জানান, ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে কাজের দায়িত্ব আরো বহু গুন বেড়ে যায়। এই অর্জন আমাদের একার নয়। দায়িত্বপালন করতে গিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তারা এবং ব্যাটালিয়নের সবাই যেভাবে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন তারা সবাই এই অর্জনের অংশীদার। প্রত্যাশা থাকবে আগামীতেও যেনো পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে এই ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি।
বার্তাবাজার/এ.আর