শিমুকে হত্যায় নোবেলের সঙ্গে ফরহাদও ছিলেন: পুলিশ

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শিমু হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিমু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে নোবেল স্ত্রী শিমুকে হত্যা করেন। তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ মিলে শিমুকে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন,  নোবেলের বাল্যকালের বন্ধু ফরহাদ সবসমই তার নোবেলের বাসায় যাওয়া যায় আসা করতো। ফরহাদ একটি ম্যাচে ভাড়া থাকতো। তার আর্থিক সমস্যা ছিলো তাই মাঝে মধ্যেই বন্ধু নোবেলের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতো। হত্যাকাণ্ডের দিনও সে আর্থিক সাহায্য নিতে এসে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের সময় শিমুর সন্তানরা পাশের রুমে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। হত্যার পর মরদেহটি ফেলার জন্য তারা সারাদিন চেষ্টা করে কোনো সুযোগ না পেয়ে রাতে কেরানীগঞ্জে এসে ফেলে রেখে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুন অর রশীদ।এ মামলায় ওইদিন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রানা/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর