কবর থেকে ৫ মাস পর শ্রমিকের লাশ উত্তোলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্ৰামের নানিহাটা সরকারি গোরস্থান থেকে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে লাশটি উত্তোলন করা হয়। মোরসালিন ওই গ্ৰামের শুকুর উদ্দিনের ছেলে। ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতেই মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। গত বছরের ১৫ আগস্ট মোরসালিন ঘাটনগর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাতে তাকে মেরে ঘরে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকারীরা চলে যায়।

পরে নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা লাশ উত্তোলনের মাধ্যমে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করলে আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেয়।

এ ঘটনায় মোরসালিনের মা সিরিনা বেগম বাদী হয়ে পুত্রবধূ স্ত্রী চম্পা খাতুনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গোমস্তাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মোরসালিনকে হত্যা করে তার ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তার পরিহিত পোশাকে কাদা-মাটির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পাশের বাড়ির নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুমে তাকে হত্যা করার সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি গামছা ও রশি পড়ে ছিল সেখানে। এসব আলামত দেখেই প্রমাণ পাওয়া যায়, তাকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশনানুযায়ী লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর