সমন্বিত লকডাউনের প্রস্তাব

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তাই দেশে এই মুহূর্তে লকডাউন দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ঘরে ঘরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগেই লকডাউন দিলে দ্রম্নত সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের সবকিছু খুলে দেওয়া যাবে। এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এখনই লকডাউন দেওয়ার পক্ষে নয়। তারা মনে করেন, লকডাউন দিলে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। দেশে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের ওপরে। দেড় মাস আগেও সংক্রমণ ছিল দুই শতাংশের নিচে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারেরও কম। সেই সংক্রমণ এখন প্রতিদিন গিয়ে ঠেকেছে প্রায় সাড়ে আট হাজারে। এই অবস্থা চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা তেমন বাড়ছে না। ১৯ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তবে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে মৃতু্যও বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

তবে এই প্রস্তাব দেওয়ার আগে জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা।’ এদিকে, আইইডিসিআরের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মুশতাক আহমদ বলেন, লকডাউন দেবে কি না, তা নির্ভর করে ক্ষয়ক্ষতির ওপর। কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল, কত সংখ্যক আক্রান্ত হলো এবং কত সংখ্যক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তার ওপর। আর হাসপাতালগুলোতে রোগী সামলানোর ক্ষমতা আছে কি না। লকডাউন না দিলেও কিছুটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে সংক্রমণ আর না ছড়ায়।

বার্তা বাজার/আর এম সা

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর