ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় বারবার সংঘর্ষের অভিযোগ

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক হলে অবস্থানের ব্যাপারে নির্দেশনার কথাও ভাবছে প্রশাসন।

এ ছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে।

বিজয়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, দুইদিন আমানত হলের ছাদ থেকে তাদের পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে কলা ভবনের ঝুঁপড়িতে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছে। অপরদিকে সিএফসির দাবি বিজয়ের কর্মীরা তাদের উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছে।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় চবি শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ সিএফসি ও বিজয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ইট-পাথর নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপকে হলে ঢুকিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৮ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষের পর গতকাল বুধবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে ক্যাম্পাসে। বিবদমান পক্ষ সিএফসি শাহ আমানত ও বিজয় সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছে। আবারও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর রামেন্দু পারিয়ালকে আহ্বায়ক করে । কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক মোরশেদুল আলম ও শাহ আমানত হলের আবাসিক শিক্ষক হাসান মুহাম্মদ রোমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্রুততম সময়ে ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার/আর এম সা

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর