দুই চুলা গ্যাসের দাম ২১০০ করার প্রস্তাব

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দুই মাসের মাথায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি বিভাগ। গ্যাসের দাম বাড়াতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে মূলত ভর্তুকি বেড়ে যাওয়া, বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানিতে অর্থ সংকট এবং আমদানি করা গ্যাস প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করে লোকসানে পড়ায় দাম বৃদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিষ্ঠানটি

রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণকারী চারটি প্রতিষ্ঠান আবাসিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। দুই চুলার জন্য মাসিক বিল দুই হাজার ১০০ টাকা এবং এক চুলার জন্য দুই হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্প-কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, “তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) ভর্তুকি সামাল দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। একাধিক গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে”

পেট্রোবাংলা সূত্র থেকে আরও জানা যায়, “তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিসহ চারটি কোম্পানি আলাদাভাবে অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই সপ্তাহে বাকি দুটি কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দেবে”

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়,“ভর্তুকির চাপ সামলাতে গত বছরের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল”

জ্বালানি বিভাগ (৩ জানুয়ারি) গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠাতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়। আমদানি করা এলএনজি এবং দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব পেট্রোবাংলা থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে জমা দেয়। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন,“এখন পর্যন্ত চারটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কমিশনে প্রস্তাব পাঠানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। সেসব মেনেই কোম্পানিগুলোকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। সব বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব আসার পর বিশ্লেষণ করে নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি”

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর