যে কারণে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারিয়েছিলেন নায়িকা শিমু

সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ১৮টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।

এমন একজন গুনী শিল্পী কোন অযোগ্যতায় তিনি শিল্পী সমিতির স্থায়ী সদস্যপদ হারিয়েছিলেন? সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে গতকাল রাতে শিমুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই। তবে সদুত্তর মিলছে না কোথাও। এ বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপাতি জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর।

তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি শোক প্রকাশ করছি শিমুর মৃত্যুতে। তিনি অনেকদিন ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে শিল্পী সমিতির সংবিধানের বিধি মেনেই তার সদস্যপদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।’

কি সেই বিধি জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘টানা দুই বছর কোনো শিল্পী চলচ্চিত্রে কাজ না করলে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়, স্থায়ী সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য করা হয়। শিমুর সদস্যপদও কিন্তু স্থগিত করা হয়নি। তাকে সহযোগী করা হয়েছে।’ তবে সমিতিতে বর্তমানেও এমন অনেক শিল্পী আছেন যারা গেল ৫ বছরেও কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি, কিংবা আরো বেশি সময়কাল ধরেই তারা অনিয়মিত। এমনকি এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রার্থীও আছেন কেউ কেউ যারা গেল ২ বছরে কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি। তবে আইন শুধু ‘জ্বামাই শ্বশুর’র মতো সুপারহিট সিনেমার নায়িকা শিমুর বেলাতেই কঠিন হলো কেন? এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি মিশা সওদাগর।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যদের একজন। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়। এদিকে শিমুর করুণ মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। শিমুর খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।

বার্তাবাজার/আর এম সা

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর