চরফ্যাসনে চোরাই হাঁস দিয়ে ইউপি সদস্যর ভুড়িভোঁজ
ভোলার চরফ্যাসনের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের গৃহস্থের হাঁস চুরি করে ভুড়িভোঁজ খেলেন ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদার ও তার কর্মীরা। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে প্রতিবেশী বেল্লাল মুনসির ৭টি হাঁস চুরি হয়ে যায়।
রাতেই গৃহস্থ বেলাল মুনসি একই গ্রামের প্রতিবেশী টকবি বাড়িতে হাঁস পাটির আয়োজন দেখে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চকিদারকে) খবর দিলে চকিদার আড়াঁল থেকে ইউপি সদস্য নিরবসহ অপর কর্মীদের হাঁস চুরির খোশগল্প শুনতে পেয়ে ঘরে ঢুকেন।
এসময় ইউপি সদস্যসহ সবাই চোরাই হাঁসের মাংস খাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। গ্রাম পুলিশ হাঁস খাওয়ার ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারন করতে গেলে ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদার ও হেলাল, সবুজ, রুহুল আমিন খন্দকার সটকে পরলেও কালু ফকির নামের একজনকে গ্রাম পুলিশ (চকিদার) আটক করে। পরে তিনি হাঁস চুরির সত্যতা স্বীকার করেন।
বেল্লাল মুনসি জানান, শনিবার রাতে তার খোয়াড়ের ৭টি হাঁস চুরি হয়ে যায়। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ করতে থাকেন। গভীর রাতে প্রতিবেশী টকবি বাড়িতে হাঁস খাওয়ার আয়োজন দেখে তিনি সন্দেহবশত স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জামাল বকসীকে খবর দেন। স্থানীয়দের নিয়ে গ্রাম পুলিশ জামাল এসে ওই বাড়িতে হানা দিয়ে রান্না করা হাঁসের মাংসসহ চোর চক্রকে আটকের চেষ্টা করলে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও কালু ফকিরকে আটক করে চকিদারের জিম্মায় নেন।
গ্রাম পুলিশ জামাল বকসী জানান, হাঁসের মালিক বেল্লাল মুনসি খবর দিলে তিনি ওই বাড়িতে যান। ঘরে ঢুকার আগেই আড়াল থেকে ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদারসহ সকলে হাঁস চুরির গল্প করতে শুনেন। এতে তিনি ঘটনা সত্যতা পেয়ে টকবি বাড়ির রুহুল আমিনের ঘরে গিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়ার চিত্র দেখে তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করতে শুরু করলে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন খাওয়া রেখে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি কালু ফকিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কালু ফকির হাঁস চুরির সত্যতা স্বীকার করেন। পরে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাসেমের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নিরব হাওলাদার জানান, হাঁসগুলো চোরাই কিনা তা আমার জানা ছিলো না। তারা আমাকে দাওয়াত করলে আমি খেতে গিয়েছি। পরে জানতে পারি চুরির ঘটনা।
ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান জানান, গ্রাম পুলিশ জামাল বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি এলাকায় না থাকার কারনে ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি।
আরিফ/বার্তাবাজার/এ.আর