শাহ আলম মেম্বার ঢাকা গ্রেফতারের ঘটনা ষড়যন্ত্র, দাবী পরিবারের

কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের (মধ্যম মিনা বাজার) এলাকার সাবেক মেম্বার শাহ আলম গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা বলে দাবী করেন তার স্ত্রী আঞ্জুমান। তিনি এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবী করেন। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের দাবী তাকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে।

১৫ জানুয়ারী ‘বার্তা বাজারে’র কাছে পাঠানো বক্তব্যে তিনি বলেন- সাবেক মেম্বার শাহ আলম একজন চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী ও এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ। গেলো ইউপি নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধাণে একটি ক্ষমতাশীন মহলের ইশারায় তাকে কালো টাকার বিনিময়ে পরাজিত করা হয়। গত ১১ জানুয়ারি শাহ আলম খুলনা সুন্দরবন এলাকায় তার এক বন্ধুর কাছে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা পৌছালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ইয়াবাসহ আটক করেছে বলে জানাযায়। আটকের পরের দিন ১২ জানুয়ারী শাহ আলম মুটোফোন থেকে আমার কাছে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। ফোনালাপে তিনি বলেন- গত ১১ তারিখ ঢাকা রমনা থানার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা হতে সাদা পোষকধারী একদল পুলিশ তাকে ইয়াবা কারবারী দাবী করে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়ার পর কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করে। খুলনা বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা জানালে গোয়েন্দা পুলিশ তার ওই বন্ধু ইয়াবা কারবারী দাবী করে তার ঠিকানা জানতে চায়। কিন্তু নিরীহ একজন মানুষকে বলপূর্বক ফাঁসাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ব্যাপক মারধর করে। এভাবে আটক রেখে নির্যাতন করার পর গত ১৩ জানুয়ারী তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এদিকে শাহ আলম কে আদালতে প্রেরণের পর শাহ আলমের জেঠাত ভাই গেলো নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী এবং তার ভাইয়েরা মিলে আতশবাজি উড়িয়ে উল্লাস করে। তাদের সাথে আমার স্বামী শাহ আলমের সাথে দ্বীর্ঘ বছরে জায়গা জমির বিরোধ রয়েছে। এই পরিবারটি টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের দায়িত্ব কালীন সময়ে আমার স্বামীকে টাকার বিনিময়ে প্রদীপের সাথে আতাত করে আটক করে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।

আমার স্বামী পাঁচ বছর মেম্বারের দায়িত্ব পালন করেছিলো কখনো দূর্ণীতি করেনি। একজন ইয়াবা কারবারী হলে আমার চারটি সন্তান নিয়ে আমি রানীর মতো বসবাস করতে পারতাম। কিন্তু আমার স্বামী এখনো নিজের স্ত্রী সন্তান বসবাসের জন্য ভালো মতো একটি ঘর নির্মান করতে পারেনি। বাচ্চাদের পড়ালেখা চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

তাই পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আমার আনুরোধ বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং আমার স্বামীকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।

এদিকে এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দাবী, ১৩ জানুয়ারী রমনা থানার সিদ্ধেশ্বরী সার্কোলার রোড, প্লট নং-৪০, ৪১ কুলসুম টাওয়ার প্রিমিয়ার সুইটস এর সামনে ফুটপাতের উপর হতে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিন হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কক্সবাজারের মিজান নামক এক মাদক কারবারীর কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকায় বিক্রি করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।

বার্তাবাজার/এ.আর/মনির

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর