শ্রমিক নেতা বাসু হত্যা মামলার সাক্ষীকে কুপিয়ে খুন

গোপালগঞ্জে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান বাসু হত্যা মামলার সাক্ষী মিন্টু মিনা ওরফে কোটন মিনাকে (৪৮) কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। রোববার সকালে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরের ফকিরকান্দি নামক স্থান থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।

২৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর বাসু হত্যা মামলায় কোটনের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এই সাক্ষ্য দেওয়া সামনে রেখে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার কোটন মিনা গোপালগঞ্জ শহরের ফকিরকন্দি গ্রামের আক্তার মিনার ছেলে। কোটন শহরের কুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মিনা মটর্সের মালিক। তিনি মোটরপার্টস ও পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি কুয়াডাঙ্গা থেকে ফকিরকান্দির বাড়িতে যান। ঘরে প্রবেশের আগেই মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে তিনি বের হন। এরপর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এরপর রাত ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাড়ির পাশে ফরিককান্দিতে স্থানীয়রা তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেনয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের বাম পাঁজরে কোপের চিহ্ন ও শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, লাশের মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা ছিলো। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

নিহতের চাচা জাকির মিনা (৫০) বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ভাইয়ের ছেলে কোটন মিনাকে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ধারণা। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে হত্যকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে দাবি জানান ওই পরিদর্শক (তদন্ত)।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর