নিজেদের ব্যর্থ রাজনীতি ঢাকতে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে বিতর্কিত নেতা ও হাইব্রিডরা

নিজেদের ব্যর্থ রাজনীতি ঢাকতে তৃর্ণমূল নেতা-কর্মীসহ কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী কাহফিল অরা সজল।

‘‘আওয়ামীলীগে অগঠনতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন’’ শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু, নুরুজ্জামান জামু ও সিরাজুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী সজল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামি ২৮ অক্টোবর কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউপিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে দলীয় প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তৃর্ণমূল নেতা-কর্মীসহ প্রার্থীরা ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

ওই ভোটে ৬৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এতে প্রয়াত আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের ছোট ছেলে শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। আমি ১৫ ভোট, মোজাহার হোসেন কান্টু-১, নুরুজ্জামান জামু-১ আর সিরাজুল ইসলাম-০ ভোট পায়।

ভোটের পর নির্বাচন কমিশনার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, প্রস্তাবিত কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য মাষ্টার শফিকুল ইসলাম সহ সকল প্রার্থী রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করেন।

অথচ তৃর্ণমূলের রায়কে উপেক্ষা করে বহুল সমালোচিত অ্যাডভোকেট মোজাহার হোসেন কান্টুর নেতৃত্বে এক সময়ের বিএনপি নেতা রাতারাতি আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনে প্রবেশকারী নুরুজ্জামান জামু, বিতর্কিত ছাত্রনেতা যার কমিটির মেয়াদ ছিলো মাত্র ২০/২৫ দিন সেই সিরাজুল ইসলাম যৌথভাবে কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, তৃর্ণমূল নেতা-কর্মীসহ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যেটি খুবি দুঃখ জনক।

ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শাহারাত হোসেন, রাশেদ আলী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুর হাকিম জানান, ২০১৯ সালে কুশুলিয়া ইউপি’র উপ-নির্বাচনে শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তিনি মাত্র ১ হাজার ১শ’৪৩ টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়ে ছিলেন। ইউনিয়নের তার গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেও চলে। নুরুজ্জামান জামু ছিলেন একসময়ের যুবদল নেতা। ২০১৩ সালের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনে প্রবেশ করে।

২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী নুরুজ্জামান জামু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় তার স্থানে প্রক্সি দিতে গিয়ে রেজওয়ান ইভান রনি নামে এক কলেজ ছাত্র পুলিশের হাতে আটক হয়।

সিরাজুল ইসলাম নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দাবি করে অথচ জেলা ছাত্রলীগ কখনও সেটা স্বীকার করেনি। তার কমিটির একটি কাগজ প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা দেয় জেলা ছাত্রলীগ। তার কমিটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।

এদিকে এসব ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মোজাহার হোসেন কান্টুর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অভিযোগের একটি অক্ষর মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে, আমি সমস্ত প্রকার তার দায়-দায়িত্ব বহন করবো।

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর