পছন্দের যুবককে অপহরণের পর বিয়ে করলো এক নারী

মোবাইল ও ফেসবুকে বারবার প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পছন্দের যুবককে অপহরণের পর বিয়ে করেছেন পটুয়াখালীর এক নারী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল আকন ৩ অক্টোবর বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

নাজমুলের বাড়ি জেলার মির্জাগজ উপজেলায়। তিনি মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। রোববার (১৭ অক্টোবর) নাজমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান এরসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন ছাত্র। তিনি সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে নাজমুলকে মুঠোফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন এক নারী। কিন্তু নাজমুল রাজি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন লোক জোর করে তাকে দিয়ে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, এ দিয়ে তারা একটি কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া আদালতে নাজমুলকে অপহরণের পত জোরপূর্বক বিয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি কক্ষে এক নারীর বাম পাশে বসা নাজমুলের মাথায় এক ব্যক্তি ধরে রেখেছেন। সেখানে আরও কয়েকজনকে দেখা গেছে। এ সময় ওই নারীকে নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। স্বাক্ষর গ্রহণের পর নাজমুলকে মিষ্টি খাইয়ে দিলে তিনি তা মুখ থেকে ফেলে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই তরুণী জানান, নাজমুলের সঙ্গে আমার দুই বছর প্রেমে। নাজমুল নিজের ইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করেছেন। অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কারণে বর্তমানে তিনি নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এবিষয় পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর