ই-কমার্স প্রতারণা: গ্রাহকের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই!
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে আনন্দের বাজার, কিউকমসহ ১২টি প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ খুব সহজে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবন নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্রাহকের সাড়ে তিনশো কোটি টাকা নিয়ে পন্য দেয়নি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আনন্দের বাজার ডটকম। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান কোম্পানিটির মালিক খন্দকার মিঠু। গত একমাসে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকমসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এসব কোম্পানির মালিক ও কর্মকর্তাদের।
সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহকের কি পরিমাণ অর্থ আটকে আছে তার সরকারি তথ্য পাওয়া না গেলেও পুলিশ, র্যাব, সিআইডি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে আসা বিভিন্ন অভিযোগ বলছে, ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ গ্রাহকের কেনা পন্য দিচ্ছে না আবার টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না।
এরমধ্যে ই-অরেঞ্জ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ধামাকা শপিং ৮০৩ কোটি টাকা, ইভ্যালি ১ হাজার কোটি টাকা, আনন্দের বাজার ৩শ ৫০ কোটি টাকা, এসপিসি ওয়ার্ল্ড ২শ ৬৮ কোটি টাকা এবং কিউকম ২শ ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া সিরাজগঞ্জ শপ, নিরাপদ ডটকমসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের পাওনা আরো প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। সবমিলে ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের পাওনা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর সভাপতি এবং দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, সাধারন মানুষ খুব সহজেই অর্থ ফেরত পাবে সেটা বলা যাচ্ছেনা। যুবক বা ডেসটিনি থেকেও মানুষ টাকা ফেরত পায়নি।
শুক্রবার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, অর্থ ফেরতের গ্যারান্টি আপাতত সরকার দিতে পারছে না।
তবে টাকা দেশে থাকলে ফেরত পাওয়া সম্ভব মনে করে ই-কমার্স এসোসিয়েশন। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এই অর্থগুলো পাওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্যমন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলছি। আমরা চাই মানুষ যেন তাদের পাওয়ানা টাকা ফেরত পায়।
বার্তা বাজার/অমি