চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের ধর্ষণে সহপাঠী অন্তঃসত্ত্বা!

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের ধর্ষণে একই শ্রেণিতে পড়ুয়া তারই সহপাঠী (১২) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (০২ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত ওই ছেলে (১২) ও তার অভিভাবকসহ ৪ জনের নামে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।

একইদিন দুপুরে অভিযুক্ত শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুরের টঙ্গিতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা তাকে নিয়ে নানা বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে নানির কাছে তাকে রেখে চট্টগ্রামে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। সেখান থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালের সৌদি আরব যান।

এদিকে মেয়েটি নানীর কাছে থেকেই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছিল। চলতি বছরের ২২ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। চলতি বছরের গত ২২ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে একই স্কুলের সহপাঠী এক শিশুর বিরুদ্ধে। ওই শিশুটির বয়স ১২ বছর পাঁচ মাস ২২ দিন। এরপর একাধিকবার শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ তোলা হয় অভিযুক্ত ওই শিশুর বিরুদ্ধে। বর্তমানে শিশুটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এদিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর শিশুটির মা সৌদি আরব থেজকে বাড়িতে দিরে মেয়ের কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। পরে শনিবার সকালে অভিযুক্ত ওই শিশুকে প্রধান আসামি করে তার মা-বাবা ও এক স্বজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই দিন দুপুরে শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিশুটির বাবার দাবি, আমার ছেলের বয়স মাত্র ১২ বছর। অবুঝ ছেলেটার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাথে আমাদেরকেও ফাঁসানো হচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলা কারাগারের সুপার মো. আবদুল কুদ্দুস বোরবার সন্ধ্যায় বলেন, শিশুটিকে রোববার বিকালে গাজীপুরে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর