৩৭ লক্ষ টাকা লোপাট ব্যাংক কর্মকর্তার: গ্রাহকের মৃত্যু

মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীর পূবালী ব্যাংকরে একজন গ্রহক। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার মারা যাওয়ার আগে একাউন্টে জমা রাখা ৩৭ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন ওই ব্যাংকের চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরীফ প্রধান ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।

গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমন অভিযোগে একটি মামলা করেছেন নিহত গ্রাহকের শ্যালক ঢাকার বংশাল থানাধীন ৪/২, বাগদাসা লেনের বাসিন্দা সালেহ আহমেদ। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে সিআইডি পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় হয়েছে, নিহত মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীরের ঢাকার নাজিরা বাজারে পপুলার সাইকেল মাঠ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। মো. বিল্লাল হোসেন নামক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা পেতেন আলমগীর। পূবালী ব্যাংক চকবাজার শাখায় চেকটি জমা দিতে গত ২১ মে ওই শাখায় ভায়রা শরীফ প্রধানের কাছে যান আলমগীর। শরীফ প্রধানকে তিনি চেকটি দেন। এ সময় অসুস্থতা বোধ করায় চেকটি স্বাক্ষর ছাড়াই তিনি রেখে আসেন। এ মামলার সাক্ষী মো. বিল্লাল হোসেন।

এরপরে আলমগীর কোভিট টেস্ট করালে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এবং গত ২৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর চেকটি না পেয়ে নিহতের স্ত্রী বংশাল থানায় একটি জিডি করেন। জিডির তদন্তে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতাপ চন্দ্র দাস জানতে পারেন আলমগীরের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ প্রধান একই শাখার রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় চেকটি জমা দিয়ে ৩৭ লাখ টাকা তুলে নেন।

বার্তা বাজার/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর