এবার দাড়ি কামানোতে তালেবানের নিষেধাজ্ঞা জারি

আফগানিস্তানের সেলুনের নাপিতদের এবার কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে তালেবান। দেশটির হেলমান্দ প্রদেশের সেলুনগুলোতে দাড়ি কামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।

তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাড়ি কামানো ইসলামিক আইনের লঙ্ঘণ। যারাই এই কাজ করবে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এ ব্যাপারে তালেবানের ধর্মীয় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

হেলমান্দ প্রদেশ ছাড়াও আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বেশ কয়েকজন নাপিত এমন সতর্কবার্তা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। চুল এবং দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই নাপিতদের শরিয়া আইন মানতে হবে বলে তালেবান সতর্ক করে দিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছর পর গত মাসে আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। তারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর উদার শাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে নতুন এই নির্দেশনা তালেবান শাসনামলের কঠোর নীতিরই ইঙ্গিত বলে অনেকেই মনে করছেন।

কাবুলের এক নাপিত বলেন, যোদ্ধারা প্রায়ই এখানে আসছেন এবং দাড়ি কাটা বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছেন। তালেবানদের একজন আমাকে বলেছেন, আমরা ইসলামী শরিয়া মেনে কাজ করছি কিনা তা দেখার জন্য তারা ছদ্মবেশে আসতে পারেন।

কাবুলের অন্যতম বড় একটি সেলুনের একজন কর্মী জানান, তাকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে ‘আমেরিকান স্টাইলে’ চুল কাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে কারো দাড়ি ছাটা বা শেভ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম সরকারের আমলে আফগানিস্তানে বিভিন্ন স্টাইলে চুল কাটা ও দাড়ি কামানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে ২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর আফগানিস্তানে পুরুষের ক্লিন-শেভ ও নানা ধরণের চুলের স্টাইল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এবার তালেবানের সেই আগের বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে সেলুনগুলোকে।

বার্তা বাজার/নব

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর