মালয়েশিয়ায় গার্মেন্টস কারখানার বাংলাদেশী মালিকসহ ৪৫ জন রিমান্ডে

মালয়েশিয়ায় অবৈধ ভাবে গার্মেন্টস কারখানা পরিচালনা ও শ্রমিক খাটানোর অভিযোগে বাংলাদেশী, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকসহ মোটা ৪৫জন অভিবাসী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কারখানার মালিক ৪৫ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী রয়েছেন তবে তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি। আটক ৪৫ জনের মধ্যে কতজন বাংলাদেশী রয়েছে জানা যায়নি।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশটির অভিবাসন পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) এর যৌথ অভিযানে সেলেঙ্গর এর আমপাং এলাকা থেকে মালামাল ও যন্ত্রপাতিসহ তাদের আটক করা হয়েছে। এসময় অবৈধ কারখানা স্থাপনে সহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয় মালয়েশিয়ান এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে। কারণ তিনিও এই কারখানার সহযোগী পরিচালক ছিলেন। আটক অভিবাসীদের বয়স ১৭ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশী ব্যক্তি আমপাং এলাকার একটি বানিজ্যিক এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে একটিতে কারখানা ও অপরটিতে শো রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। এই ৪৫ জন শ্রমিক কে দিয়ে কারখানায় স্থাপিত মেশিনে কাপড় কাটা, সেলাই ও প্রিন্টিং এর কাজ

করানো হত। এর মধ্যে অনেক শ্রমিকের ভিসা ছালা (অপব্যবহার) করা ছিল। নিয়োগকৃত শ্রমিকদের ১৬ শত রিংগিত যা বাংলাদেশী টাকায় ৩২ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হত। আটক বাংলাদেশী মালিকের কারখানা পরিচালনার কোন লাইসেন্স ছিল না। এই কোম্পানির নাম ব্যবহার করে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট ও গাড়ী ক্রয় করে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তাছাড়া বাংলাদেশী ব্যক্তির মালিকানাধীন সংস্থাটি প্রতি মাসে ১৩০,০০০ রিংগিত থেকে শুরু করে ১৫০,০০০ রিংগিত পর্যন্ত উৎপাদন এবং বিপনন করা হত।

আটক সকল আসামি কে দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫ম ধারার ২ উপধারায় অভিযোগ গঠন করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঐ মালয়েশিয়ান নারী অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় ১৯৫৯/৬৩ ধারা এবং মানি লন্ডারিং সহ অন্যন্যা অপরাধের জন্য ২০০১ এর ৬১৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছে পুলিশ।

আশরাফুল মামুন/বার্তা বাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর