ছুটিতে আসা কর্মীরা এবছর মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবেন না 

করোনাকালে যে সমস্ত কর্মীরা ছুটিতে বৈধভাবে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে এসেছিলেন তারা ২০২১ সালের ভিতর পূনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারছেন না। টানা ৪ মাস লকডাউনের পর ইতিমধ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আশা করা হয়েছিল ২০২১ সালের শেষ পর্যায়ে এসে সীমান্ত খুলে দিলে ছুটিতে থাকা কর্মীরা দেশটিতে ফিরে কাজে যোগ দিতে পারবেন।

কিন্তু রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতোক সেরী এম সারাভানান বলেন,  বিদেশী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পূনরায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আবার বাড়ানো হবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তিনি বলেন, ছুটিতে থাকা বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা (মেইড) তারা কখন ফিরতে পারবেন উক্ত বিষয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় আলোচনা করে পরবর্তী স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘আমি নিবন্ধিত এবং আমাদের দ্বারা লাইসেন্স প্রাপ্ত বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থাগুলি কে অনুরোধ করছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি যে, উৎস দেশ থেকে গৃহকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের বিভ্রান্ত করে আমাদের পরামর্শ ছাড়া এমন কোনো বিবৃতি বা বিজ্ঞাপন দেবেন না।

মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ার গৃহকর্মী বা গৃহপরিচারিকা কাজ করে থাকেন। তাই মন্ত্রনালয়গুলো ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সাথে গৃহপরিচারিকা নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) চুড়ান্ত করার জন্য আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম বৈশ্বিক করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০১৯ এর ১৮ ই মার্চ থেকে শুরু হয় দেশটিতে সর্বাত্মক লকডাউন।  এই সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে যেসমস্ত কর্মী ছুটিতে কিংবা জরুরী প্রয়োজনে নিজ নিজ দেশে গিয়েছিলেন তারা এখনও আটকা পড়ে আছেন। ২০২০ এর নভেম্বর থেকে শুরু ২০২১ এর জুন মাসের আগ পর্যন্ত মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি)  নামে একটি অনলাইন এ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়া তে কিছু কিছু ছুটিতে থাকা কর্মী প্রবেশ করেছিলেন।

কিন্তু চলতি বছরের জুন মাস থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় এমটিপি’র মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দেশে আটকা পড়া অসংখ্য কর্মী যাদের বৈধ ভিসা ও পারমিট রয়েছে তারা কখন মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবেন বিষয়টি নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সরকার কখন অনুমতি দিবেন।

আশরাফুল মামুন/বার্তা বাজর/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর