গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা পুলিশের!

ঢাকার আশুলিয়ায় গাজীরচট এলাকায় এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর শারিরিক নির্যাতনসহ মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনায় দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ওই গৃহকর্মী ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, তার উপর চালানো অমানবিক নির্যাতনের কথা।

নির্যাতিতা ওই ভুক্তভোগী জানান, গাজীরচট এলাকার সোনিয়া মার্কেটসহ বাড়ির মালিক প্রভাবশালী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাজে যান ভুক্তভোগী গৃহকর্মী। ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে দেলোয়ার। ধর্ষণের এ ঘটনা দেলোয়ারের স্ত্রী দেখে ফেলে। ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজনকে নিয়ে তার হাত-পা ও মুখ বেধে রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে সে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। আয়রন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দেওয়ার পাশাপাশি গৃহকর্মীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, ‘মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাকে কিছু এক্সে করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

জানা গেছে, ঘটনার দিন (১৪ সেপ্টেম্ব) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। দুই দিন পার হলেও কোনো সুবিচার পাননি তারা। উল্টো পুলিশ কৌশলে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগীদের চিকিৎসার জন্য মাত্র ৮ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, ‘হাত-পা ও চোঁখ বেধে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার পাশাপাশি সারা শরীরে আয়রনের ছ্যাকা দেয় তারা।’

তবে গড়িমসি করার বিষয়টি অস্বীকার করে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক ইউনুছ আলীর দাবি, ‘মামলা নথিভুক্ত করার পাশাপাশি আসামি ধরতে অভিযান চলছে।’

বার্তা বাজার/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর