হোসেনপুরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই চলছে পাঠদান

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯ দফা শর্ত দিয়ে দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয় সরকার।

কিন্তু উপজেলা সদরের হোসেনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করেই পাঠদান শুরু করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ উদ্দিন। প্রতিষ্টানের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কয়েকজন সহকারি শিক্ষক বরংবার প্রধান শিক্ষককে অবগত করলেও তিনি কোন র্কণপাত করেননি। অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি না থাকায় নিরুপায় হয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে শ্রেনী কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরত থাকেন কয়েকজন শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থার্মোমিটারে তাপমাত্রা না মেপেই অবাদে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে, প্রবেশ পথে নেই কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার কোন সু- ব্যবস্থা। শ্রেণি কক্ষে সামাজিক দুরত্ব না মেনেই চালানো হচ্ছে পাঠদান। স্কুলের আঙিনার ঝোঁপ ঝাড়ও পরিস্কার করা হয় নি যা থেকে হতে পারে ডেঙ্গু রোগ। ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মুখে নেই মাস্ক।

এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্কুলে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা হাত ধৌত করারও তেমন ব্যবস্থা নেই।এছাড়াও মাস্ক পরিধান না করলেও তেমন জোড় দেয়া হচ্ছে না স্কুল কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে। ফলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার অতংক নিয়েই তাদের স্কুলে আসতে হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক মোঃ আয়নাল হক ও মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলার প্রথম দিনেই প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হলেও তিনি স্বাস্থ্যবিধির উপর জোড় দিচ্ছেন না। অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি না থাকায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আমরা কয়েকজন শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে কোনো আইশোলেশন সেন্টার না রাখারও অভিযোগ করেন তারা।

তবে প্রধান শিক্ষক ফরহাদ বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস চালাচ্ছি৷ থার্মোমিটারে তাপমাত্রা মাপা কিংবা মাস্ক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি এগুলো এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্টান খোলার পূর্বেই স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পারও এখনো কেন স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত হয়নি তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বান দেন তিনি।

এস,এম,তারেক নেওয়াজ/বার্তা বাজার/অমি