দৌলতপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার কলিয়া ইউনিয়নের বহড়াবাড়ি গ্রামে। পার্শ্ববর্তী ধামশ্বর ইউনিয়নে দরবেশ এর মেলায় আগত দর্শনার্থীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা নিয়ে। মারামারিতে দর্শনার্থীদের হাতে প্রহৃত হয়ে পারিবারিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা করেছেন বহড়াবাড়ি গ্রামের মোঃ ফরিদ শিকদার ওরফে ফটিক।

অভিযোগে জানা যায়, বহড়াবাড়ীর ফরিদ শিকদারের বড়ভাই সফিকুল ইসলাম ওরফে সুকচান শিকদার এর বসতবাড়ি সরকারি রাস্তার পাশে হওয়ায় সে নানাভাবে রাস্তা ব্যক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। সরকারি রাস্তায় দোকানঘর স্থাপন, টিউবঅয়েল বসান, সবজি আবাদ, পাওয়ার টিলার রাখা, নৌকা রাখা, খড়ের গাঁদা দেওয়াসহ প্রভূতি নানা কাজে ব্যবহার করায় ঐ স্থান দিয়ে জনচলাচল বিঘ্ন ঘটছে।

সম্প্রতিককালে পার্শ্ববর্তী ধামশ্বর ইউনিয়নে দরবেশ এর মাজারে মেলা হওয়ায় এ স্থান দিয়ে জনসাধারন চলাচল আরো বেড়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের অসুবিধা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। গত ৩ মার্চ মেলার আগত অজ্ঞাতনামা দর্শনার্থীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করলে সফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্তহয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মারধোর করার জন্য যায়। এ সময় উভয়পক্ষের হাতাহাতিতে সুকচান ও সাইফুল আহত হয়।

এদিকে একই গ্রামের মোঃ কায়সার হামিদের চাচাতো বোন খালেদা আক্তার হত্যা হওয়ায় নাগরপুর থানায় দায়ের করা ঐ মামলায় ফরিদ শিকদারের ভাই আনোয়ার শিকদার আসামী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শিকদার পরিবার, কায়সার হামিদদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। উক্ত হত্যা মামলা আপোষ মিমাংষা না করায় শিকদার পরিবার কায়সার হামিদদের নামে বিভিন্ন সময় নানা হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এর জের ধরে প্রকৃত আসামীগন অজ্ঞাত হওয়ার কারনে ও দীর্ঘদিনের বিবাদমান প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ফরিদ শিকদার কায়সার হামিদ ও তাঁর দুই চাচাতো ভাই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শহীদ ও কামরুল এবং চাচা মোঃ হানিফ শেখসহ আরো আট জনকে অভিযুক্ত করে গত ১২/০৩/২০১৯ ইং তারিখে দৌলতপুর থানায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা নং ১১ দায়ের করে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন- ‘দিনের বেলা অন্য গ্রামের লোকের হাতে মার খেল, আর আসামী করলো নিজ এলাকার নিরীহ মানুষদের।’ তবে আরো মিথ্যা মামলার ভয়ে কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। হয়রানীমূলক মামলার আসামী কায়সার হামিদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন ওরা আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমার বোনের হত্যার বিচার চাওয়ায় আমাদের নামে তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে উল্টো আমাদেরকেই হয়রানী করছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে ঘটনার দিন কায়সার হামিদ গ্রামেই ছিল না, সে অফিসের কাজে ঢাকা অবস্থান করছিল। ন্যায় বিচারের স্বার্থে উল্লেখিত ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর