সংযোগবিহীন মিটারে ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল!

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ৩নং ইউনিয়নের নাজিরাগছ এলাকার বাসিন্দা মরহুম আবুল হোসেন। পাঁচ বছর পূর্বে তিন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে অভাবের মধ্যে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) লিমিটেড এর কাছ থেকে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ নেন।

সংযোগের ১ বছর যেতে না যেতেই ব্লাড ক্যান্সার ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অবশেষে দুনিয়া ছেড়ে চলে যান আবুল হোসেন। সংসারে নেমে আসে অভাব অনাটন। কোনো কুলকিনারা না পেয়ে অভাবের সংসারের মরহুম আবুল হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৭) মাঠের কাজ শুরু করেন শুধু মাত্র লবণ ভাত খেয়ে জীবনধারন ও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার কারণে।

দুই ছেলে এক মেয়ের লেখা পড়া ও সংসার চালানো একার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগটিও ৪ বছর পূর্বে লিখিত আবেদন এর মাধ্যমে বিছিন্ন করেন। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার পরেও ৪ বছর পর ১ বছরের বিল পরিশোধ এর নোটিশ আসে।

মরহুম আবুল হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরেই সংসারের সকল খরচ বহন করা সম্ভব না হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করি। সংযোগ বিছিন্ন করার পর কোনো প্রকার কারেন্ট বিল আসে নাই, মনে করেছিলাম মিটারটি চুড়ান্তভাবে বাতিল হয়ে গেছে।

ওই এলাকার মিটার রিডার মো: হারুন বলেন, আমি মিটারটি চুড়ান্তভাবে বাতিল করেছি এবং সংযোগও বিছিন্ন করেছি নিজেই। অফিসের কম্পিউটারের সফটওয়্যার পরিবর্তন হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই ১ বছরের বিল পরিশোধ করলে ঠিক করে দিবেন। ওই বিধবা মহিলা বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক বছরের বিলের কিছু টাকা মওকুফ করার জন্য তেঁতুলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সত্যজিত দেবশর্মা কাছে গেলেও কোন সমাধান মিলেনি।

সত্যজিদ দেবশর্মা বলেন, ‘পুরো টাকা দিতে হবে, তারপর মিটারটি বন্ধ করে দেওয়া যাবে’। এতদিন পর কেন বিল পাঠালেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিটার রিডার এর গাফিলাতির কারণে এমন টা হয়েছে।

এসএম আল আমিন/বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর