শেরপুরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সোনালী আঁশ পাট

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এ বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার কৃষকরা এবার খুব ভাল দাম পাচ্ছেন। অতিবৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে। এমনকি খাল-বিল ও ডোবায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাট জাগ দিতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি কৃষকদের।

কৃষকরা বলেন, সময়মত পরিচর্যা ও বিছা-মাকড়সা প্রতিরোধ করতে পেরেছি তাই পাটের ফলন অনেক বেড়ে গেছে। এখন যেরকম দাম রয়েছে তা বেশ ভালো। পাটের দাম ভাল পেলে আগামীতে আরো বেশী জমিতে পাটের চাষ করবো।

খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের কৃষক দবির উদ্দিন জানান, প্রতি বছর পাট চাষ করেন তিনি। অনেক সময় বন্যায় পাট নষ্ট হয়ে যায়। এবার এখনো বন্যা হয়নি। তাই পাটের ফলন ভাল হয়েছে। তিনি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তার সব মিলে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। ২ বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে ১৭ মণ। প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তিনি। এতে তার ৩২ হাজার ৩০০ টাকা লাভ হয়েছে।

সীমাবাড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের কৃষক মো. মহির উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা হাটে পাটের দাম সবচেয়ে ভাল পাওয়া যায়। এছাড়াও আমাদের ইউনিয়নের সাথেই এ হাট বসে। এবার পাটের দাম ভাল পাওয়ায় চান্দাইকোনা হাটে পাট বিক্রি করতে এসেছি। পাটের এরকম দাম পেলে আগামী বছরে পাট চাষের জন্য জমির পরিমান বাড়াবো।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, এবার শেরপুর উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সব চেয়ে বেশী চাষ হয়েছে সুঘাট ও সীমাবাড়ি ইউনিয়নে। খানপুর ইউনিয়নেও পাট চাষ হয়ে থাকে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে এবং বন্যা না হওয়ায় পাটের ফলন ও রং অনেক ভালো আছে। তাই কৃষকরা দাম ভালো পাচ্ছে। পাটের রং ভালো থাকলে ৩ হাজার টাকা পর্যন্তও বিক্রি হচ্ছে। আশা করি আগামী বছরে কৃষক পাট চাষে জমির পরিমান বৃদ্ধি করবে।

রাশেদুল হক/বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর