সব হাতে কাজ দাও – সব মুখে

১।সবার আগে দেশের স্বার্থ। কথাটিকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সহজে বলা যায় দেশ মানে নাগরিক আর দেশের স্বার্থ মানে নাগরিকের স্বার্থ। আর এই নাগরিক স্বার্থকে জনস্বার্থও বলা হয়। আমরা লিফলেটের বাইরে জনস্বার্থ কথাটির বাস্তবায়ন বাস্তবে খুব একটা পাই না। স্বার্থকে শর্তের বেড়াজালে বন্দী করে লৌকিক অভিনয়ে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করা লোকগুলো দেশবিরোধী সন্ধি করে। মনুষ্যত্ব কে কমদামে বিক্রি করার কারনে মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে চলতে চলতে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকায় জনগণ এখন পোস্টারে সাটানো সাদাকালো ফ্যাকাসে চরিত্র।

পক্ষে বিপক্ষে কথা উপকথায় তারা শুধুমাত্র উপকরণ। তাদেরকে শুধুমাত্র চেটেপুটে খাওয়া হয়। তাদের অধিকার বলে বেড়ানো কিছু মানবাধিকার কর্মীর অন্য কোন চিন্তাই নেই। তারা দিনরাত চেষ্টায় মানুষের ভাগ্য ফেরান। কিন্তু সেই মানুষগুলো দিনশেষে বুঝতে পারেন তাদের ভাগ্য ফেরেনি। তাদের ভাগ্য ফেরানোর নাম করে একটি বাংলা চলচ্চিত্রের শুটিং করা হয়েছে। তারা এই চলচ্চিত্রে অংশীজন হতে পেরেই আনন্দ পান। বুক ভরে গর্ব করে। সাধারণ জনগণ এখন অসাধারণ অভিনয় করেন। যা হয় তাই ভালো হিসেবে মেনে নেন। কোন প্রতিক্রিয়া নেই। দেখেও অন্ধের মত না দেখার ভান ধরেন। দৌড়াবার শক্তি থাকলেও ল্যাংড়ার মত ভাব ধরেন। শরীরে শক্তি থাকলেও বৃদ্ধের মত দূর্বল সাজেন। কি অদ্ভুত জীবন আমাদের সাধারণ জীবন যাপন করাদের! আমরা সাধারণ মানুষের দলভুক্ত লোক বলেই এইসব অন্ধকারে পথ হারিয়ে না দেখার ভান করেছি। এতে করে আমরা আর মানুষ থাকছি না। জড় বস্তুর মত পণ্যে রুপান্তরিত হচ্ছি। আমাদেরকে কেনা বেচা করা হচ্ছে নামে বেনামে,আমরা বিক্রি হয়ে যাচ্ছি দামে বেদামে!

২।এই করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের যে কতটা সংকট তা সামনে চলে এসেছে। জেলা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোর বেশিরভাগেই নাই আইসিইউ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা সামগ্রী ও ব্যবস্হাপনা। তথাকথিত লকডাউন সমাচারে বিপন্ন বিধ্বস্ত হয়ে সাধারণ মানুষের চোখে মুখে শুধুই বিষাদ,শুধুই দুঃখ বেদনার ডালপালার বাড়াবাড়ি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে আগেই বহুমুখী উদ্যোগের দাবি উঠেছিল। দল নিয়ে দ্বন্দ্ব,নারী পুরুষ ভেদাভেদ, ধর্মের পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের লোকেরা,ধনীক শ্রেণী,দরিদ্র গোষ্ঠী,সরকারি লোক,বেসরকারি জনতা এক কথায় সব চিন্তা একমতে এসেছিলো নিজেদের বাঁচাতে। সবার আবদার ছিলো প্রস্তুতি নেওয়া হোক।

আমরা লেখার মানুষরা বলেছিলাম অন্তত মানুষগুলো যেন স্বাভাবিকভাবে মরতে পারে! এসব কথাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, জনচক্ষুকে টেনেটুনে নিচের দিকে নামিয়ে,উন্নয়ন এর অভিনয়, দুর্নীতির লাগাম টানার মহড়া দিয়ে করোনা মোকাবেলায় কার্যকরী কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা সেবার কথা বলে ফেসবুকে বাহবা পেয়ে, জনসভায় ফুলেল অভর্থনা গায়ে মেখে, পত্রিকায় মিডিয়ায় আপাদমস্তক অতিমহৎ মানুষ সেজে কতক লোক কি বাহনাই না করলো! ফেল বাবু ফেল! সিনেমার অভিনেতারাও ফেল! সিনেমাটিক অভ্যুদয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আমূল পরিবর্তন আসতে আর বাকি নেই!

নরসিংদীর মানুষগুলো বরাবরই ভালো। মেঘনাবিধৌত এ মাটির বুকে যারা দিনযাপন করেন; তাদেরকে টেটা বর্শাতে বিশ্লেষণ করার কোন সুযোগ নেই। বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই। কই- তারা যদি এতটাই ক্ষিপ্ত রাগী হয়ে থাকেন তাহলে তাদের সাথে যে এত লুকোচুরি করা হয় তারা কিছু বলেন না কেন?

সদর হাসপাতালে দালালের আখড়া,অনিয়মের সাম্রাজ্য,অমানবিকতার মিছিল! কই তারা তো একবারও চর থাপ্পড় দিয়ে একটা ডাক্তার কেও অপমানিত করে নি তো! নরসিংদী সদর হাসপাতালে র ইমার্জেন্সি বিভাগের দায়িত্বে কে বা কারা আছেন তা বিবেচ্য বিষয়। বলছি না হাসপাতালটির সব ডাক্তার কর্মচারীই খারাপ! কিন্তু এটা খুব জোর দিয়েই বলতে পারি একটা জনজরীপ করলে ৮০+ মানুষ বলবে এই হাসপাতালের চিকিৎসার মান তলানিতে! আর অন্তত আমি দেখিনি এই হাসপাতালে আন্তরিক কোন সেবা পেতে! কয়েকটা ইন্টর্নশীপ স্টুডেন্ট কে বসিয়ে রেখে রোগীদের ধমক দেওয়াতেই ব্যস্ত তারা! আরে- জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে জনগণের সাথে এই ব্যবহারের অধিকার আপনাকে কে দিলো! আপনি ডাক্তার হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখছেন তাহলে আমার কৃষক কি করছে? দোষ ডাক্তারদের নয়; দোষ দায়িত্বশীলদের!
সাধারণ মজদুরের,কৃষকের,শ্রমিকের উপর ডাক্তারদের এত উচ্চবাচ্য আমার ভালো লাগে না!

আমার টেবিলে দাঁড় করিয়ে এক ঘন্টা কথা বলতে বললে ৯০+ ডাক্তার বলবে ভাই আমার বিষয় এটা না! আমাকেও ডাক্তারের বিষয়ে কথা বলতে বলবো ভাই মাফ করুন! আমরা সবাই যেহেতু নিজ নিজ বিষয়ের বাইরে খুব একটি জানি না তাহলে টেনেটুনে আমার কৃষক, মজুর, মেহনতী মানুষের মনে কেন কোদাল চালান ভাই! রোগ বাড়ার আগে যে হাসপাতালে আসতে হবে এটি আপনি জানেন,এটা আমরা হয়তো বুঝি! তবুও আপনাকে রোগে পড়তে হয়; লড়তে হয়! আমাকেও রোগ কাবু করে! তাহলে সেই সাধারণ কৃষক, যে এত কিছু বুঝতে পারে না; তাকে কেন এত বিরক্ত করেন?

তাকে কেন এত ছোট করেন; যে লজ্জা, অপমানে সে আর হাসপাতালে আসতে চায় না? আপনি যে টাইম দিয়ে দেন আবার চেকআপ করাতে সে সময়মত আপনার ও আমারও চেক-আপ মিস হয় কখনো কখনো! নির্ধারিত সময় নানান কারণে মিস হতে পারে। ব্যস্ততায় ঠিক তারিখে যাওয়া না ই হতে পারে! তাহলে দরিদ্র মানুষগুলো কে কেন কথার আঘাতে বিদ্ধ করেন? তারতো হাসপাতালে যাওয়া আসার টাকাও রেডি করতে হয়! তার ওতো বাঁচার ইচ্ছে আছে। তার কাছে আপনার আমার চেয়ে বেশি তার ও তার স্বজন প্রিয়জনের জীবন!

৩। রক্ত দানের নামে কয়েকটি সংগঠন ব্যস্ত রোগীর স্বজনদের মাথায় আবেগ ঠেকিয়ে অর্থ আত্বস্বাৎ এর যুগপৎ ব্যবস্হায়। এর ফলে প্রকৃত অর্থেই যারা স্বেচ্ছাসেবী,রক্ত দিয়ে যারা নারী, শিশু, বৃদ্ধ, যুবক, মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়ান; তারা পরিচয় সংকটে ভোগেন। পরিচিত অনেক স্বেচ্ছাসেবীকেই দেখি ফোন দেওয়া মাত্রই কতোটা আবেগ আর ভালোবাসার সংমিশ্রণে মানবজীবন কে কতটা মূল্যবান করে তোলেন! বিনিয়োগ করেন ভালোবাসা। সম্পর্ক তৈরী করেন। বিশ্বাসের জংশনে মিলিয়ে দেন সম্ভাবনাকে। রোগী সেইসব ‘মানুষ’ দের সঙ্গ পেয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখে।আমিও দূর্বল হয়ে পড়ি।

সেইসব স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে এক হাজার বছর একসাথে কাজ করার ইচ্ছে জাগে। অভিমান তৈরী হয়; ইস! আপনাদের জন্য যদি কিছু একটা করতে পারতাম! কিন্তু রাগে অন্ধ হয়ে যাই যখন দেখি আমারই ফোনে কয়েকটা অমানুষ স্বেচ্ছাসেবক নরসিংদী তে থেকে নরসিংদী শহরের হাসপাতালে রক্ত দিয়ে রোগীর পরিবার কে বলেন – রক্তের জন্য কোন টাকা লাগবে না। ভাই এর সাথে কথা হয়েছে মাত্র ৪/৫ হাজার টাকা দিলেই হবে, আমরা ইমার্জেন্সি ঢাকা থেকে চলে এসেছি! তখন মনের কোনে জমা হওয়া ক্রোধ আনমনে জড়ো হয়ে মাথা কে বারি করে তুলে। যেখানে এক ব্যাগ রক্ত কিনলেই ৪/৫ হাজার টাকা লাগে না।

সেখানে বিনা পয়সায় রক্ত দেওয়া সংগঠক সমান পাঁচ হাজার চান। ফিগার পাঁচ হাজার। মার্জিন পাঁচ হাজার টাকা তাদের এতই যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারা রক্ত বিক্রি করুক। তাহলে অন্তত আমরা বিব্রত হবোনা। আর তাদের রক্তের জন্য তেমন কোন সমস্যা ও হবে না। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা একটি সমস্যা দেন সঙ্গে তার সমাধানের পথও। এ ভাবে রোগীকে বেডে ফেলে দামদর করা স্বেচ্ছাসেবক আর কবরস্হান থেকে লাশ চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া পিশাচদের আমি একই চোখে দেখি। তাদের আমি একই পাল্লায় মাপি। যারা চোর তারা তো চুরই! তাদের শাস্তি হয়; তাদের বড় শাস্তি তারা সামাজিক মর্যাদা পান না!কিন্তু যারা স্বেচ্ছাসেবী পরিচয় দেন,খালি হাতে এসে ব্যাগভর্তি করে সামাজিক মর্যাদা নিয়ে বীরোচিত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন ; তাদের কি করা উচিত?

তারা তো বড় ধরনের চুরি করছেন, ছোট ধরনের প্রতারণা করছেন, নেনো পরিমাণ খুনও করছেন! তাদের কি বিচারের আওতায় আনা উচিত নয়? স্বেচ্ছাসেবক পরিচয়ে একটি আত্মতৃপ্তি পেতাম! আমার কোন আত্মীয় স্বজনরা অসুস্থ হলে আন্তরিকতার সঙ্গে কত লোকই পাশে এসে দাঁড়ায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে রক্ত দিয়ে আমাকে শিখিয়ে দিয়ে যায় স্বেচ্ছা সেবা কি? তারই উল্টো পিঠে কি নিদারুণ নিষ্ঠুর দুঃখ যাপন! চারিপাশে শুধু রক্তের হলি খেলা! রক্তদানকারী স্বেচ্ছাসেবকদের আমি আমার চিন্তার বড় একটি অংশজুড়ে রেখেছি। রক্ত বিক্রি করাদের ও খারাপ চোখে দেখি না! হয়তো বড় কোন সংকট তারা এই পথে পা বাড়িয়েছে! কিন্তু রক্ত দালালদের আমি মানুষ বলি না! গরুর দালাল ভালো! গরু কেনা বেচায় সময় দিয়ে টাকা নেন।

এখানে মানুষের জীবন মরণের কোন কথা আসে না। কিন্তু রক্ত দালালেরা মানুষের জীবন মরণের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কি নাটকটাই না করেন! এই দুঃসহ দিনরাত কবে ভেদ করবো আমরা? কবে বা কোন সকালে ঘুম ভেঙে আসবে ভোরের দোয়েল? কখন আসবে সে দিন ; যখন মা নিশ্চিত মনে সন্তানকে পাঠাবেন দূর দিকন্ত রেখায় মিলিয়ে যেতে? যেখানে সব হাতে কাজ নেই, সব মুখে ভাত নেই; সেখানে কি এগুলো নিছকই স্বপ্ন নাকি কর্মধারা? ভাবি;অবাক হই!

৪। দেশের ৬৫ ভাগ তরুণের মধ্যে ৫০ ভাগ আজ চরমভাবে দিশেহারা! ইচ্ছে করে কেউ দিশেহারা হয় না। অনেক পরিবারের জমানো টাকা শেষ। অনেক বাবার পেনশনে যা টাকা আসবে তার সমপরিমাণ টাকা দার দেনা করে খরচ করা হয়ে গেছে। অনেক বাবা কাজ হারিয়ে নিজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রই বিক্রি করে দিয়েছে। অনেক মা গোপনে প্রিয় কানের দুল,গলার চেন,হাতের চুরি, গহনার স্বর্ণ সব বেচে দিয়েছে।

অনেক ব্যবসায়ী বাবা বা পরিবার প্রধান মাঝে মধ্যে যা বিক্রি করেছে তার সবই খেয়ে দেয়ে শেষ করেছে। এখন তার ব্যবসায়ের পুঁজি হলো তার অসহায় চাহনি! কয়েকশ পরিবারে আমি এমন দেখেছি। অনেককেই জানে ঘটনাগুলো। চরম সত্য এই যে- যাদের কথা বললাম গত দুই বছরে তাদের পরিবারের কেউ না খেয়ে মরে নি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সব হারানোর পর যা থাকে তাও ‘বিনিময়’ করে তাদেরকে বাঁচতে হয়েছে। আজ তারাই হতাশ বেশি! তাদের আর কি বা বাকি থাকে? এখন তারা যেকোন কাজ চায়!যথেষ্ট পরিশ্রম করে হলেও আবার তারা জীবনে ফিরতে চায়! যাদের বাড়িতে খাবার নেই; চাহিবা মাত্র তাহার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে! এই কল নাম্বার তারা কেটে দিতে চায়! দেশের এত এত উন্নয়ন প্রকল্পের মতই যথাযোগ্য প্রকল্প হতে পারে তরুণদের যোগ্যতানুযায়ী কর্মসংস্হান!

কি লাভ কাজ না দিয়ে প্যাকেট ভর্তি মোটা চাউল পাঠিয়ে ইন্টার অনার্স পড়ুয়া একজন ছেলে,একজন মেয়েকে হীনমন্যতায় ভুগিয়ে শেষ করে নিঃশেষ করে ফেলা? ওমুক ইউএনও কে, তমুক চেয়ারম্যান কে, সেই ডিসির কাছে জানানো মাত্রই এক বস্তা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মর্মে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যে ফটোসেশন করা হয়েছে ; দয়া করে এগুলো বন্ধ করুন। মানলাম সময়ের প্রয়োজনে এমনটা করা হয়েছে। দয়া করে এবার বন্ধ করুন। কাজ দিন। ঘুষ বন্ধ করুন। একটা প্রজন্মকে বাঁচান। জনগণ বাঁচলে অনেক রাজনীতি করতে পারবেন। অনেক ছবি তুলতে পারবেন বৃদ্ধ পিতার সঙ্গে।

অনেক বাহবা কুড়াতে পারবেন; কয়েকটা ফেসবুকীয় দালালদের কাছ থেকে! এসব লোকদেখানো শ্রদ্ধা ফ্রিজে রেখে দিন। পারলে মানুষের মনে জায়গা খুঁজুন। সাধারণ মানুষ কিন্তু আপনার ভালোবাসার প্রতিদান দিবে ভালোবাসায়! তারা আপনার বিপদ দিনে আপনাকে ছেড়ে পালাবে না! আপনাকে আগলে রাখবে। আর কিছু না পাড়ুক ;অন্তত নিজ বুক পেতে দিয়ে হলেও আপনাকে রক্ষা করবে। এমন নজির অহরহ! আর ডালপালা বদলানো স্বভাবের কারণে আজ যারা আপনার ডালে তারা আপনার বিপদের দিনে আপনার পাশে থাকবে না কোনকালে! সাধারণরা আপনাকে ছেড়ে পালাবে না।
‘ ভালোবাসার বদলে ভালোবাসা!’
এটা কি তাদের খুব বড় চাওয়া?

লেখকঃ মো.মাহবুব আলম, প্রতিষ্ঠাতা ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি, উন্মোচন সাহিত্য পরিষদ – উসাপ

বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর