শেরপুরে মিথ্যা মামলায় বাদির বিরুদ্ধে স্বাক্ষীর সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার শেরপুরের খন্দকারটোলা এলাকায় রুনা পারভীনের ২কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে স্বাক্ষীর নাম প্রত্যাহার, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবীতে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার এজাহার ভুক্ত ৭জন স্বাক্ষী।

সংবাদ সম্মেলনে ওই মামলার ১ নং সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্য বলেন খন্দকারটোলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রুনা পারভীন (৪০) বাদি হয়ে গত ১০ মার্চ একই গ্রামের আবুল হোসেনের দুই ছেলে মাসুম ও অন্তর এবং তার ভাই জেল হোসেনকে আসামী করে বগুড়া জেলা নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এ মামলা করেন। যার নং-৪৫পি/২০১৯। ওই মামলাতে তার স্বামী ও সন্তানসহ একই গ্রামের আবু সাইদের ছেলে সনি মিয়া, ফজলুল হকের ছেলে মো. আলম, মৃত খোশালের ছেলে মো. সুলতান মিয়া, আব্দুল বারীর স্ত্রী মোছা. ফুলেরা, আলমের স্ত্রী মোছা. হাসিনা ও দেলোয়ারের ছেলে রেজাউলসহ ১১জনকে স্বাক্ষী বানায়। কিন্তু বাদির সঙ্গে বিবাদীদের সৃষ্ট ঘটনার সাথে বাস্তবতার কোন মিল না থাকায় এবং আমাদের না জানিয়ে বাদির ইচ্ছায় আমাদের স্বাক্ষী বানিয়ে তার অশুভ ও স্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, খন্দকার টোলা গ্রামের জেল হোসেনের কাছ থেকে ৬-৭ মাস আগে ১৫দিনের জন্য একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রুনা পারভীন ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা পরিশোধ না করায় জেল হোসেনের সাথে কয়েকদিন আগে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুনা পারভীন প্রকাশ্যে চড় থাপ্পড় মারে। এ ঘটনায় জেল হোসেনকে শায়েস্তা করতে পূন:রায় রুনা পারভীন তার স্বামী আব্দুল মান্নান ও তাদের কন্যা সন্তান মারুফা ও জান্নাতিকে নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেল হোসেনের ভাই আবুল হোসেনের বাড়িতে যায় এবং রুনার সাথে আবুল হোসেনের স্ত্রী সন্তানদের ঝগড়ার এক পর্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে চুলাচুলির ঘটনা ঘটে। তাদের চিৎকার শুনে আমরা সাক্ষীগন ও পাড়ার অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করি।

পরে জানতে পারি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রুনা পারভীন পরদিন শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। একই ঘটনা নিয়ে রুনা পারভীন বাদি হয়ে গত ১০মার্চ প্রকৃত ঘটনার তথ্য আড়াল করে আমাদের না জানিয়ে রুনা পারভীন তার দুই মেয়ে মারুফা ও জান্নাতির সম্ভ্রম হানি বা টাকা ও সোনার গহনা ছিনতাই এর ঘটনায় আবুল হোসেনে ২ ছেলে মাসুম ও অন্তর কে জড়িয়ে বগুড়া জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এ একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রুনা পারভীন আমাদেরকে না জানিয়ে ওই কথিত মামলার সাক্ষী বানায়। তাই যেহেতু রুনা পারভীনের সাথে আবুল হোসেনের পরিবারের মিল নাই এবং ওই মামলায় উল্লেখিত বিবরণীগুলোর সাথে প্রকৃত ঘটনার সাথে বাস্তবতার মিল না থাকায় সেই মামলায় আমাদেরকে স্বাক্ষী বানিয়ে অশুভ উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া তার এই মামলায় অহেতুকভাবে আমাদের স্বাক্ষী মানিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করায় ওই মামলা থেকে আমাদের স্বাক্ষীর নাম প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলা থেকে বিবাদীদের অব্যাহতি দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এ সময় অর্ধশতাধিক এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর