মরিচক্ষেতে পাওয়া শিশুটিকে আর বাঁচানো গেল না

১৮ দিন চিকিৎসার পরও বাঁচানো গেল না পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার একটি মরিচক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পিঁপড়ায় ধরা নবজাতক শিশুটিকে। শনিবার (২২ জুন) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মারা গেছে শিশুটি।

এরপর বিকেলে উপজেলার পূর্বকার্তিপাশা গ্রামের সোহরাব গাজীর বাড়িতে জানাজা শেষে শিশুটিকে দাফন করা হয়।

এদিকে শিশুটির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বিল্লাল হোসেন। তিনিই চিকিৎসার ভার নিয়ে শিশুটিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

গত ৪ জুন নিজের মরিচক্ষেতে একটি শপিং ব্যাগ কুড়িয়ে পান সোহরাব গাজী। ব্যাগে ছিল সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি। তার রক্তমাখা শরীরটা কামড়ে ধরেছিল অসংখ্য লাল পিঁপড়া। দ্রুত শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে স্ত্রী নূরজাহান বেগমের কোলে তুলে দেন তিনি।

খবর পেয়ে দুমকী থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো না থাকায় হাসপাতালের শিশু বিভাগের ডা. সিদ্বার্থ শংকর শিশুটিকে বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারটি আর্থিকভাবে সচ্ছল না থাকায় কোথাও নিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না। তখনই হাজির হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন। সেই থেকে নিজ দায়িত্বে শিশুটির চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, ১৮ দিন শিশুটির জন্য হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে ছিলেন সোহরাব গাজী ও তার স্ত্রী নূরজাহান। প্রকৃত বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের বাড়িতেই শিশুটিকে দাফন করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর