বিক্ষোভের মুখে স্পিকারের পদত্যাগ

জর্জিয়ার পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার এক রুশ এমপির দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ভবনের বাইরে সমাবেশরত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ গণআন্দোলনে পরিনত হয়। যার সুবাধে শেষে পর্যন্ত স্পিকার ইরাকলি কোবাখিদজ পদত্যাগে বাধ্য হন।

এতে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ বিক্ষোভকারী ও ৩৯ পুলিশকর্মী। খবর বিবিসি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশেষে জর্জিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ইরাকলি কোবাখিদজ পদত্যাগ করছেন বলে ঘোষণা দেন ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির মহাসচিব কাখা খালাদজ। জানা গেছে, রুশ এমপি সের্গেই গাভরিলভ বৃহস্পতিবার জর্জিয়ার পার্লামেন্টে অর্থডক্স খ্রিস্টান দেশগুলোর এমপিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

আবখাজিয়া ও দক্ষিণ অসেতিয়া অঞ্চল দুটিকে জর্জিয়া থেকে ২০০৮ সালে দখল করে নেয় রাশিয়া।

দখলের পর অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে রাশিয়া এবং সেখানে এখনও রুশ সেনারা অবস্থান নিয়ে আছেন।

রাশিয়া ও জর্জিয়া এ দুটি অঞ্চল নিয়ে এর আগে লড়াই করেছে। জর্জিয়ার বিরোধী দল পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত।

তারাই প্রথম রুশ এমপির বক্তৃতা দেয়ার বিষয়টির প্রতিবাদ জানান। দলটি বরাবরই জর্জিয়ায় মস্কোর প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের চারদিকে ঘেরাও করে স্পিকারের পদত্যাগ দাবি করেন। ধারণা করা হয়, সেখানে প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছিলেন।

তারা রাশিয়াকে আগ্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। জর্জিয়া ও রাশিয়া বৃহস্পতিবার রাজধানী তিবলিশে দাঙ্গা-বিক্ষোভের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর