মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সুমন হোসেন (১৩)কে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কস্টেপ লাগিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে একই মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান উল্লাহ। গতকাল ২০জুন বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হেতালিয়া বায়তুল আহাদ আকন বাড়ি হাফিজি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম সারিকখালীর কাঁচামালের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহিম চৌকিদারের ১৩ বছরের ছেলে মোঃ সুমন চৌকিদারকে কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়া বায়তুল আহাদ আকন বাড়ি হাফিজি মাদ্রাসায় ভর্তি করে মাদ্রাসায় রেখে হাফিজি পড়ায়। ঘটনারদিন ২০ জুন বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় ২০০০ টাকা চুরি করার সন্দেহে মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান উল্লাহ মাদ্রসার বডিং কক্ষে গিয়ে ছাত্র সুমনকে হাত-পা বেঁধে ও কস্টটেপ লাগিয়ে মুখ বন্ধ করে প্রথমে বেত দিয়ে উপুর্যপরি পিটাতে থাকে। এক পর্যায় বেত ভেঙ্গে গেলে শিক্ষক আহসান উল্লাহ পুনরায় একটি লোহার রড এনে ফের সুমনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। একই মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বির হোসেন পালিয়ে গিয়ে এ খবর সুমনের মা রেহেনা বেগমকে জানায়। রেহেনা বেগম তাৎক্ষনিক আনুমানিক সকাল ১০টায় তার দেবর সাইফুলকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থা দেখে চিকিৎসার জন্য ছেলেকে নিয়ে আসতে চাইলে শিক্ষক আহসান উল্লাহ বাঁধা দেয়। অনেক কান্নাকাটি করে ছেলে সুমনকে নিকটস্থ হেতালিয়া বাঁধঘাট পল্লী চিকিৎসক মতিউর রহমানের নিকট চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন নিষ্ঠুর ঘটনাটি জেনে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ রাতে ঘাতক মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান উল্লাকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিত হাফিজি ছাত্র সুমন আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে।
এ ঘটনায় ভিকটিম সুমনের মা ঘটনার দিন রাতে ২০ জুন বৃস্পতিবার সদর থানায় ঘাতক শিক্ষক আহসান উল্লাহকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৬, তারিখঃ ২০.০৬.১৯ইং। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হচ্ছে।
দেখুন ভিডিওত….
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কস্টেপ লাগিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক গ্রেফতারবিস্তারিত => http://bartabazar.com/archives/29720
Gepostet von Barta Bazar am Freitag, 21. Juni 2019