কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সামনে ময়লার ভাগাড়,গণশৌচাগার

রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দুই তলা ভবন বিশিষ্ট কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি। ১৯১০ সালে শহরের প্রাণকেন্দ্র এন.এস রোডে প্রতিষ্ঠিত হয় লাইব্রেরিটি। ভবনটির সামনে ছিল পানির ঝর্না । ১৯১০ সালে নির্মাণের পর পাঠকদের পদচারনায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। লাইব্রেরীটি শোভা বাড়ানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল আধুনিক মানের একটি পানির ঝর্না। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পাঠকদের মনোরঞ্জন এর জন্য নির্মিত ঝর্ণাটি বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২০১৯ সালে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এনএস রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে গিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়।

কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠের সামনে এবং পাশে ও সামনে অবস্থিত ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। তারা এখন পাবলিক লাইব্রেরীর মঞ্চের সামনে পাবলিক ডাস্টবিন ও গণ শৌচাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠের একজন প্রস্রাব করছে। আর গেটের সামনে ময়লার স্তূপ। যেনো পাবলিক লাইব্রেরি পাবলিক ডাস্টবিন পরিনত হয়েছে!

এদিকে পাবলিক লাইব্রেরীর নাইট গার্ড কাম অফিস সহকারী পিরু বলেন, আমি নিষেধ করলেও কেউই আমাকে পাত্তা দেয় না। এই পাবলিক লাইব্রেরীতে এখন পাবলিক ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। আগে এই লাইব্রেরী চত্বর এর বিভিন্ন প্রোগ্রাম হত।লাইব্রেরি চত্বরে ভাড়া দেয়া হয় এখন পর্যন্ত। সেখানে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে একটি মঞ্চ। ওই মঞ্চে নিয়মিত প্রোগ্রাম হলেও প্রোগ্রাম শেষ এই মঞ্চের আশপাশ দিয়ে যেন গণশৌচাগার হয়ে যায়।

এদিকে এবিষয়ে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লালিম হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর