পেকুয়ায় নৌকার প্রার্থী কাশেমের প্রতিশ্রুতি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জোরেসোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাশেম। সকাল থেকে রাত অবধি পেকুয়ার আনাচে কানাচে মানুষের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জবরদখলমুক্ত নিরাপদ পেকুয়া গড়তে মানুষকে অনুপ্রাণিত করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ঘরোয়া ও উঠান বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন বাজারের মোড়ে মোড়ে পথসভাও করছেন তিনি। এসব বৈঠকে ও পথসভায় মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহন চলছে। তিনি যেদিকে ছুটছেন, সে দিকেই মানুষের ¯্রােত লক্ষ্য করা গেছে।

রাজাখালীর ভোটার আবুল হোসেন বলেন, কাশেমের মতো যোগ্য ও সৎ নেতাকেই আমরা নির্বাচিত করবো। তাকে নির্বাচিত করতে পারলে এলাকার উন্নয়ন হবে। সরকারে আওয়ামী লীগ, স্থানীয় এমপি আওয়ামী লীগের এবং উপজেলা পরিষদে কাশেমকে পাঠাতে পারলে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়ার ভোটার ছৈয়দুল করিম বলেন, পেকুয়া সদরে গেলে অন্য এলাকার মানুষকে চরম হয়রানি, হেনস্তা ও চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। এসব দমন করতে কাশেমের মতো যোগ্য ব্যক্তির দরকার। এবারের উপজেলা পরিষদে আমরা তাকেই পাঠাবো।

শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচি বলেন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম দীর্ঘ তিন দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি দলের সঙ্গে কখনও বেইমানি করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজির কোনো অভিযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতিক নিয়ে পাঠিয়েছেন, তাকে নির্বাচিত করে উপজেলা পরিষদে পাঠাতে পারলে আমরা কাঙ্খিত উন্নয়ন পাবো।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও টৈটং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মগানামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, টৈটং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম, উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল এমইউপি, মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল এনাম, সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ, শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমানি ওয়ারেচি, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজাদ, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম খান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিএসসি, বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন শামা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন বাহাদুর, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোছাইন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আবুল কাশেমকে জয়ী করতে এককাট্টা হয়ে কাজ করছেন। এছাড়া পেকুয়া সদর ইউপির তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন আটঘাঁট বেঁধে আবুল কাশেমের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায়। আমি নির্বাচিত হলে এ উপজেলার উন্নয়ন তরান্বিত করতে পারবো। এছাড়া পেকুয়া সদর কেন্দ্রীক একজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পেকুয়াকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জবরদখলমুক্ত করতে মানুষ আমাকেই বেছে নেবে।’
আবুল কাশেম বলেন, যেদিকে যাচ্ছি, মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ একজন নিরাপদ মানুষ চায়। আমি বিশ্বাস করি, ২৪ তারিখ আমাকেই নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরও দুই প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম গিয়াস উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের পক্ষে ভোট যাচ্ছেন।

তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ পেকুয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে পেকুয়া উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ৪০ টি কেন্দ্রে ২৫০ টি বুথের মাধ্যমে এক লাখ ছয় হাজার ২৮৯জন ভোট তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর