সেনা সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ফেলল সমুদ্রে

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প জোনে’ নান্নু মিয়া নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।

হত্যার পর লাশটি সমুদ্রে নিক্ষেপের আগে তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প জোনের’ ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের সিকিউরিটি কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।

খুনের জন্য স্থানীয় প্রতিপক্ষ কোম্পানি চায়না হারবাল কর্মীদের দায়ী করা হয়েছে। ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প পরিচালক মেজর (অব.) রেজা ওয়াহিদ বলেন, নান্নু মিয়ার দুটি চোখ উপড়ে ফেলা, গোপনাঙ্গ কর্তন, গরম পানি ঢেলে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ সমুদ্রে ফেলে দেয় ওরা।

মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত সহকারী নজরুল ইসলাম রোববার জানান, দুপুর ২টায় উপকূলীয় অর্থনৈতিক জোন এলাকায় ইছাখালি খালের মুখ থেকে নান্নুর (৪৬) লাশ উদ্ধার করেছে ফার্ভিস। জোরারগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুর রহমান জানান, লাশের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গরম পানি ঢালার কারণে তার শরীরে ফোসকা পড়ে গেছে।

নিহত ব্যক্তি ফরিদপুর জেলার মধুপুর উপজেলায় পশ্চিম দারাখালি গ্রামের আবদুল হক মোল্লার ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।

সূত্র জানায়, দেশের বৃহৎ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে চায়না হারবাল নামক কোম্পানির সঙ্গে ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শুক্রবার। ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প পরিচালক মেজর (অব.) রেজা ওয়াহিদ বলেন, সমুদ্রে ড্রেজিং বসিয়ে আমরা বেজার নির্ধারিত প্রকল্পগুলো ভরাট করছিলাম। কিন্তু চায়না হারবাল কোম্পানির কর্মীরা আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছিল। শুক্রবার ওরা আমাদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমাদের ৭ জন কর্মী পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সাঁতরে চলে গেলেও নান্নু মিয়াকে ওরা ধরে নিয়ে যায়।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর