সাতক্ষীরার বেতনা নদীতে নেট জালে রেণু পোনা নিধন

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা জেলাকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছের জন্য সাদা সোনা হিসাবে দেশ-বিদেশে পরিচিত। আর সেই সাদা সোনা হিসাবে খ্যাত জেলার বিভিন্ন নদীতে নেট জাল ফেলে রেনু পোনা নিধন করা হচ্ছে। জেলার আশাশুনি উপজেলার বেতনা নদীতে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে রেণু পোনা ধরে নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার রেণু পোনা ধরে ডাঙ্গায় ফেলে মেরে ফেলানোর ঘটনা দেদারছে চলছে।

নদীর তীরের কিংবা পাশ্ববর্তী গ্রাম সমুহের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন বাঁশের ত্রিকোণ খাঁচার সাথে নেট জাল বেঁধে নদীর তীরে পেতে রাখে। নদীর পানির স্রোতের সাথে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ঐ জালের মধ্যে ঢুকে আটকে যায়। কিছুক্ষণ পর পর জাল ঝেড়ে পাত্রে রেখে তার থেকে ছাটি/গলদা রেণু ধরে নেওয়া হয়। ধরা পড়া বাকী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু মারা যায় বা ডাঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনেকে বাঁশে বাঁধা জাল নদীর পানিতে নেমে টেনে রেণু পোনা ধরে ধাকে। একই ভাবে তারাও তাদের দরকারি মাছের রেণু ধরে নিয়ে বাকীগুলো নষ্ট করে থাকে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মাছের রেণু মারা যাচ্ছে। ফলে এলাকার নদী সমুহ মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। এসব রেণু অবৈধ ভাবে ধরে নষ্ট না করা হলে নদীতে, গেটের পানির সাথে রেণু পোনা ভিতরে ঢুকে খালবিল, মৎস্য ঘের সমুহ প্রাকৃতিক মাছে ভরে যেত। নেট জাল দিয়ে রেণু পোনা ধরা নিষেধ থাকলেও চাপড়া, কাটাখালী, বৈরমপুর, গাবতলা, বাহাদুরপুর, গুনাকরকাটিসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত মানুষ রেণু পোনা ধরার কাজ দেদারছে চালিয়ে আসছে। বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত সোহরাব ঢালীর পুত্র নজরুল ইসলাম গাজী রবিবার বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে নদীতে নেট জাল পেতে রেণু পোনা ধরছিলেন।

তিনি জানান, তিনি একা নন, এলাকার অসংখ্য মানুষ এভাবে রেণু পোনা ধরে থাকে। তিনি অবলিলাক্রমে বলে ফেললেন, তিনি গলদা চিংড়ীর রেণু বেছে নিয়ে বাকীগুলো ফেলে দেন। এগুলো মরে যাচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে তা জানেন কি? জবাবে তিনি বলেন, মরে যাচ্ছে ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু আমরা অত না বুঝে এগুলো করে থাকি। প্রতিদিন কত টাকার রেণু বিক্রয় করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ থেকে ১০/১২ শত টাকার রেণু বিক্রয় করে থাকি। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর