তারা পশু। কিন্তু তাই বলে তাদের কি কোনও আবেগ অনুভূতি নেই? অবশ্যই আছে, বলছেন প্রাণীবিজ্ঞানীরা। গত সাত তারিখ প্রবীণ কাসোয়ান নামে এক বনকর্মীর টুইট করা একটি ভিডিও ফুটেজে তারই প্রমাণ মিলল। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মা হাতি জঙ্গলের ভিতর থেকে তার শাবকের দেহ শুঁড়ে নিয়ে বেরিয়ে রাস্তা পেরচ্ছে। তার পিছনে পুরো হাতির দল। সবাই মা হাতিকে সান্ত্বনা দিতে দিতে দেহ নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে জঙ্গলের অন্য পাড়ে ঢুকে যাচ্ছে।
পুরো ঘটনাটিকে হাতিদের শোকমিছিল বলে উল্লেখ করে টুইটার পোস্টে প্রবীণ লিখেছেন, ‘এ দৃশ্য হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবেই। দেখে মনে হল পুরো পরিবার মৃত শাবককে যেন কাছছাড়া করতে চাইছে না।’ ঠিক কোন বনে ওই ফুটেজটা তোলা হয়েছে সেসম্পর্কে অবশ্য উল্লেখ নেই প্রবীণের টুইটারে। প্রবীণের ওই পোস্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ১৪০০০০ লাইক এবং ৬৫০০ রিটুইট হয়েছে পোস্টটি। ফুটেজ দেখে সবাই হাতিদের এই আবেগকে সম্মান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, একদল প্রাণীবিজ্ঞানী অনেক আগেই সতর্ক করেছিলেন পশুপাখিদের মধ্যে মানুষের আচরণ, অনুভূতির প্রকাশ দ্রুত ঘটছে। তবে বিজ্ঞানীদের আরেকটি দলের মতে, যেহেতু হাতিরা ভূমিতে সব চেয়ে বেশি জীবিত থাকা প্রাণী, গড়ে প্রায় ৭৫ বছর বাঁচে তারা, তাই তাদের মধ্যে আবেগ–অনুভূতি অন্যান্য পশুপাখিদের থেকে অনেক বেশি প্রকাশ পায়। হাতিদের প্রখর স্মৃতিশক্তির প্রমাণ অনেক আগেই দেখা গিয়েছে। তাছাড়া হাতিরা তাদের মৃত সঙ্গীদের বালি বা শুকনো ডালপাতা দিয়ে কবর দিয়েছে সেই ঘটনাও ভারত এবং আফ্রিকার বিভিন্ন বনে দেখা গিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই।
বার্তাবাজার/এএস