পুলিশের চেষ্টার পরও ধামরাইয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন

মোঃ আল মামুন খান, সাব-ব্যুরো প্রধান,সাভার/ধামরাইঃ
পুলিশের চেষ্টার পরেও রোধ করা গেলনা ধামরাইয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার (১৩) এর বাল্যবিবাহ। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকার সিদ্দিকের মেয়ে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহিমা আক্তার  এবং একই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুনালাই গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে শাকিল হোসেন (২১) এর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়। 
এদিকে বাল্যবিবাহের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধামরাই থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এসময় বর, কনেসহ  উভয় পক্ষের পিতামাতাসহ আত্মীয় স্বজন পালিয় যায় বলে ধামরাই থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে।
তবে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সহযোগিতায় এই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয় বলে জানান ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড  ইউপি সদস্য মনোয়ার।
কিন্তু এব্যাপারে গাংগুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ইউপি মেম্বার মিথ্যা কথা বলছেন, এই বাল্যবিবাহের সাথে আমার কোনোরুপ সংশ্লিষ্টতা নেই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ এবং এর প্রতিকারে সকলের যৌথভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। 
তবে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হলেও পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিবাহ সম্পন্ন হয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালামের মুঠোফোনে কল করলেও তা বন্ধ থাকায় এবিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর