এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি…

একটি-দুটি নয়, ৫০টির বেশি মৌমাছির চাক রয়েছে বাড়িটিতে। দোতলা ভবনের কার্নিশ, বারান্দা, দরজার ওপরের অংশসহ প্রায় সব জায়গায় বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। এমনকি ভবনের আশপাশের গাছেও মৌমাছির বাসা।
মৌমাছির বাড়িটির অবস্থান মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাকছাড়া এলাকায়। ১০ বছর ধরে মৌমাছি এভাবেই বাসা বেঁধে আছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘মৌচাকবাড়ি’ নামে পরিচিত। মৌমাছির আনাগোনা ও দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
বাড়িটির মালিক কবির মল্লিক (৭০)। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। এ দম্পতির তিন ছেলের দুজনই ইতালিপ্রবাসী। আরেকজন সরকারি চাকরিসূত্রে অন্যত্র থাকেন। গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, দোতলা ভবনের চারদিকের কার্নিশ, বারান্দার দেয়াল, দরজার ওপরের অংশে ঝুলছে মৌচাক। ভবনের পাশে গাছের ডালেও মৌমাছির বাসা। বাড়িটিকে প্রায় অর্ধশত মৌচাক দেখা যায়।
বাড়িজুড়ে মৌমাছির বাসা বাঁধার রহস্য জানতে চাইলে কবির মল্লিক বলেন, ‘প্রায় এক যুগ আগে বাড়ি তৈরি করেছি। এরপর থেকেই এভাবেই মৌচাক বসে আমার বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মৌমাছি থাকে। আমার মৌমাছিদের খুব ভালো লাগে। মৌমাছি আমাদের বাড়ির কাউকে কোনো ক্ষতি করে না। আজ পর্যন্ত আমার পরিবারের কাউকে মৌমাছি কামড় দেয়নি।’
কবির মল্লিক আরও বলেন, ‘মৌয়াল মধু কিনতে বাড়ি এলেও তাদের কাছে মধু বিক্রি করি না। স্থানীয় ব্যক্তিরাও মৌচাকগুলো দেখাশোনা করে রাখেন। কেউ মৌমাছির চাকে ঢিল ছোড়ে না। নিজেদের প্রয়োজনে বছরে দু-একটা চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। সেখান থেকেই প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনকেও মধু দিই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর