দুই কিংবদন্তির পরামর্শে বদলে গেলেন ওয়াহাব রিয়াজ

দু’বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ৮.৪ ওভারে ৮৯ রান খরচ করার পরেই তাকে কার্যত বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন নির্বাচকেরা।ইংল্যান্ডের জন ঘোষিত পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ডাক পেলেন না এই বাহাতি। তাই বিশ্বকাপটা ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখার পরিকল্পনা হয়ত নিয়ে-ই রেখেছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ।নাটকীয় ভাবে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের দলে ডাক পান তিনি।

জুনেয়েদ খানের ফিটনেস সমস্যা এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তার খারাপ ফর্মের জন্যই কপাল খুলেছে ওয়াহাবের।আর মাঠে নেমে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিলেন ওয়াহাব।এরপর থেকে ভক্তদের মনে প্রশ্ন হঠাৎ কি এমন হয়েছিলো যে, আমূল পরিবর্তন এলো ওয়াব রিয়াজের জীবনে?উত্তরটাও দিলেন নিজে এই পেসার।

৩৩ বছরের বাঁ হাতি পাক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ জানাচ্ছেন, দুই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনিসের মূল্যবান পরামর্শই তাকে দিয়েছে নতুন জীবন। না হলে হয়তো এ বার বাড়িতে বসেই তাকে দেখতে হত বিশ্বকাপের ম্যাচ। তিনি বলেছেন, ‘ভাগ্যের এমন পরিবর্তন আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আজ প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করছি। না হলে তো এখন আমার বাড়িতে বসে দলের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া অন্য কোনও কাজই থাকত না।’

নতুন ভাবে ফিরে আসার কাহিনি বলতে বসে ওয়াহাবের মন্তব্য, ‘এখানে আসার পরে গত সপ্তাহে দেখা করেছিলাম আমার দুই প্রেরণা আকরাম এবং ইউনিস ভাইয়ের সঙ্গে। দুজনেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, কাউকে ভয় করার কারণ নেই। নিজের স্বাভাবিক বোলিং করে যেতে হবে। সেই পরামর্শই আমার মানসিকতা আমূল পাল্টে দিয়েছে।’

সেখানেই না থেমে ওয়াহাব আরও বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে ওয়াসিম ভাইয়ের বোলিং লক্ষ্য করেছি। ওকে দেখলেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে উঠি। তা ছাড়া ওয়াকার ভাই ছিলেন আমার প্রাক্তন কোচ। তাদের যে কোনও পরামর্শ আমার কাছে অমূল্য। এখানেও তাদেরই মন্ত্রে আমি নিজেকে আবার ফিরে পেয়েছি।’

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮২ রানে তিন উইকেট নিয়ে ওয়াহাব আবারও পাক দলের বোলিং‌ং বিভাগের সেরা অস্ত্রে পরিণত হয়েছেন। তবে তা নিয়ে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন পাক বাহাতি পেসার। তিনি জানিয়েছেন, দলের বাইরে থাকার সময়ে প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে লড়াই করা তার কাছে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেছেন, ‘দলের বাইরে চলে গেলেই নষ্ট হয়ে যায় মানসিকতা। লড়াই করার ইচ্ছে অনেকটাই কমে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।’

যোগ করেছেন, ‘এই সময়ে নিজেকে আবার ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন ছিল কিছু মূল্যবান পরামর্শের। আমি ছুটে গিয়েছিলাম দুই প্রিয় বোলারের কাছে। ওরাই আমাকে ফিরে আসার উপায় বলে দিয়েছেন। ওঁদের কাছে আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। এ বার আমাকে দলকে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর