ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল এখন বিশ্বসেরা তকমা পাওয়া দল। এবারের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ শুরুর অনেক আগে থেকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের তালিকায় এক নম্বরে আছে ইংল্যান্ডের নাম।
অপরদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মূল লক্ষ্য ‘ম্যাচ-বাই-ম্যাচ’ ভেবে সেমিফাইনালের পথে হাঁটা।
শনিবার (০৮ জুন) কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। ইংল্যান্ডে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই খেলা।
ইতিহাস কী বলছে?
কার্ডিফ মানেই বাংলাদেশের জয়, এটা এখন লেখাই যায়। তবে ম্যাচের সংখ্যা নিতান্তই কম। কিন্তু গুরুত্ব অনেক বেশি।
২০০৫ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে কার্ডিফের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ কার্ডিফে বাংলাদেশের জয়ের হার শতভাগ।
দুই ম্যাচে দুই জয়। দু’টি জয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
এগিয়ে বাংলাদেশ
কার্ডিফে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দুই দলের চতুর্থ ম্যাচ। এর আগে তিনবার দেখা হয় দুই দলের। যার মধ্যে দু’বার জয় বাংলাদেশের, একবার ইংল্যান্ডের।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে চার উইকেটে হারায়। ২০১১ সালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারায় দুই উইকেটে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ১৫ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড জিতেছে সমান সমান – দুই দলেরই তিনটি করে জয়।
ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপ
লিয়াম প্লাঙ্কেট কিংবা জোফরা আর্চার, এরা সবাই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন। জোফরা আর্চার বিশ্ব ক্রিকেটে হঠাৎ উদয় হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ।
২০১৭ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেন তিনি, ৯ ম্যাচে ১০ উইকেট নেন আর্চার।
এছাড়া মঈন আলী বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাউন্টি দলের টিমমেট ছিলেন। কার্ডিফের উইকেট যদি তার স্বাভাবিক আচরণ করে – তাহলে এই উইকেটে স্পিন ধরবে।
একমাত্র ইংলিশ কোচ বাংলাদেশের
বিশ্বকাপে ১০ দলের মধ্যে তিনিই একমাত্র ইংলিশ হেড কোচ। আবার কোচ হিসেবেও এটাই তার প্রথম বিশ্বকাপ। আর সেটাও ইংল্যান্ডের মাটিতেই।
‘এটা ভীষণ গর্বের। খুবই উত্তেজনাকর। আর এ কারণেই আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।’
কিন্তু ৮ জুন কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেকে কি করে শান্ত রাখবেন তিনি?
‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার অনুভূতি আমি এখনো জানি না। তারা হট ফেভারিট। আর আমি আন্ডারডগ থাকতেই পছন্দ করি। হারানোর কিছু নেই। আবার যদি জিতে যাই তাহলে সেটা বড় দলের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনতাই করে নেয়ার মতো ব্যাপার। দেখুন আমি আপাদমস্তক ইংলিশ হলেও বাংলাদেশের হয়ে তাদের হারাতে চাইবো।’