শোয়েব জানালেন কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুতগতির উইকেটরক্ষকের নাম

ভারতের ম্যাচের অধিনায়কত্ব করেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত সব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেন প্রায়শই। তবে শোনা যায় এসব সিদ্ধান্তের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির অবদানই নাকি বেশি। শোয়েব আখতারও ধোনির ক্ষমতায় মুগ্ধ। মাঠে ধোনি নাকি কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন!

শোয়েব আখতারের ক্রিকেট বিশ্লেষণ নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়। এবার বিশ্বকাপে তো চমকেই দিয়েছেন। এ বিশ্বকাপের মূল ফেবারিট ইংল্যান্ড। এমনকি অস্ট্রেলিয়া, ভারত বাদে কেউ ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে বলেও মনে করেননি কেউ। কিন্তু সাবেক পেসার শোয়েব বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় এক সপ্তাহ আগেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তান স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারাবে। তখন অনেকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তার কথা।

আর কেনই বা হাসবেন না? বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে তুলোধুনো করেছে ইংল্যান্ড। ৪-০ তে হারা সেই সিরিজে অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান হারাতে পারেনি ইংল্যান্ডকে। কিন্তু বিশ্বকাপে শোয়েবের কথা ফলে গেল! ইংল্যান্ডকে অবিশ্বাস্যভাবে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। সেই শোয়েব এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাবেক অধিনায়ক ধোনিকে বলছেন কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুতগতির।

মাঠে ধোনির উইকেট কিপিং শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। ঠান্ডা মাথায় সব ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা খুঁজে বের করেন। আর একের পর এক কৌশল বোলারদের জানিয়ে তাদের আউট করেন। নিজের কাজেও অবিশ্বাস্য। স্টাম্পিংকে শিল্পে রূপ দিয়েছেন। শেষ কবে উইকেটের পেছনে ধোনি ক্যাচ ফেলেছেন মনে করা কঠিন। অবিশ্বাস্য রিফ্লেক্স আর পজিশনিং তো আছেই। তবে শোয়েব ধোনির প্রশংসা করেছেন ম্যাচের ভাব বুঝতে পারার ক্ষমতার জন্য।

ম্যাচের গতিপথ বুঝতে ধোনির চেয়ে পারদর্শী লোকের সংখ্যা কম। তাই তো ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শোয়েব, ‘কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুতগতির ধোনি। একটা ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে কম্পিউটারের যা সময় লাগবে তার চেয়ে দ্রুত ধোনি ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা গুছিয়ে ফেলতে পারবে।’ শোয়েবের কাছ থেকে প্রশংসাটা ধোনি এমনিতে পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ২২৭ রানের মোটামুটি লক্ষ্য পেরোতে বেশ ধীর গতির ব্যাটিং করছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। পাঁচ নম্বরে নেমে রোহিত শর্মার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ধোনির ৭৪ রানের জুটি ভারতকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল অনেকটা। আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভারতের আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানোরও অনেক প্রশংসা করছেন সবাই। সেখানেও যে কোহলিকে প্রতি মুহূর্তেই পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন ধোনি তা বলাই বাহুল্য।

ধোনির হাত ধরে ভারত বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে। অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নিলেও উইকেটের পেছনে এখনো সবচেয়ে বিশ্বস্ত নাম তিনি, মিডল অর্ডারে তাঁর কার্যকরী ইনিংস এখনো ভারতকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করে প্রতিনিয়ত। মাঠে ধোনির উপস্থিতির গুরুত্ব এবং কার্যকারিতা নিয়ে মোটেও বাড়িয়ে বলেননি শোয়েব!

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর