জয়’ বারবার ডেকেছে। কিন্তু বাংলাদেশ দল বারবারই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তিন তিনটি রানআউটের সুযোগ তৈরি হলো এবং তিনটিই ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠল বোলিং নিয়েও। ২৪৪ রান করে ম্যাচ জিততে বোলিংটাকে যে রকম আক্রমণাত্মকভাবে সাজানো উচিত ছিল, সেটা করতে পারেনি বাংলাদেশ।তবে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে কেন উইলিয়ামসন বাহিনী।
কিউইরা ম্যাচ জিতেছে ঠিকই। তবে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মন জয় করেছে মাশরাফিবাহিনী। নখ কামড়ানো ম্যাচ হারলেও লড়াকু মানসিকতার জন্য বিশ্বব্যাপী বাহ্বা পাচ্ছেন তারা। হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। একের পর এক ক্রিকেট বিশ্বের রথী-মহারথীর প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তারা।
দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর সমর্থন তো আছেই। মাঠে ও মাঠের বাইরে প্রবাসী সমর্থকরাও অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে সোচ্চার। তাদের বার্তায় স্পষ্ট, মাশরাফির দল এখন মোটেও কোনো সহজ প্রতিপক্ষ নয়। ইতিমধ্যে অনেকে তাদের ডার্ক হর্স হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লড়াকু পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করছেন খোদ ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, মাশরাফি-সাকিবরা অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলছে। যদি তারা সেমিফাইনালে যায়, (শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পায় বা টিকিট কাটে) আমি মোটেও অবাক হবো না।
এদিকে ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানিয়েছেন, আমরা আশাহত নই। এখনো সাত ম্যাচ বাকি। আশা করি, শিগগির কামব্যাক করতে পারব।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে ইংলিশদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। স্বাগতিকদের হারিয়ে তারা এখন ফ্রন্টফুটে ফের আসতে পারেন কি না-তাই দেখার।