যেভাবে এবার ঈদের চাঁদ ‘আবিস্কার’ হলো

রাত নয়টার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। পরে রাত ১০টার পরে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিকব্যক্তি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখেছেন বলে সংবাদ পাওয়া যায়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, পাঁচজন ব্যক্তি চাঁদ দেখেছেন। আরও ১১ জন দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। শরিয়ত মোতাবেক যদি কমপক্ষে দুজন ইমানদার ব্যক্তি চাঁদ দেখার ঘোষণা দেন, তাহলে সেই ঘোষণা মেনে নেওয়া উচিত।

কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন গতরাতে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার এলাকার লোকজন চাঁদ দেখেছে। তিনটি উপজেলা থেকে আমার কাছে ফোন এসেছে বারবারই। বিষয়টি নিয়ে সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের লিখিতভাবে জানাতে বলেন।’

সুলতানা পারভীন জানান, যখনই টিভি চ্যানেলে খবর আসে যে কাল ঈদ হবে না, তখন থেকে ফোন আসা শুরু হয়। ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী এবং ফুলবাড়ী উপজেলার লোকজন চাঁদ দেখার খবর জানিয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা অফিসে ছিলাম। হঠাৎ করে ১০টা-পৌনে ১০টার দিকে ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন দিলেন যে, তার সামনে ৩০-৪০ জন আছে, যাঁরা চাঁদ দেখেছেন। এরপরই ফের বৈঠকে বসে চাঁদ দেখা কমিটি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বুধবারই ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর