সেদিন আড়ংয়ে কী ঘটেছিল, জানালেন মঞ্জুর শাহরিয়ার

সরকারি বিধি মেনেই আড়ংয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদফতরের আলোচিত সেই কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

ঈদ ছুটিতে নোয়াখালী যাওয়ার পতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আড়ংকে ভোক্তা অধিকার আইনের বাইরে গিয়ে জরিমানা করা হয়নি। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‌‘কালকে যখন আমরা আড়ংয়ে গিয়েছি, আমরা দেখলাম, তারা ভুলগুলো স্বীকার যাচ্ছে না। এজন্যই জরিমানা করা হয়েছে।

এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, তার ভুল স্বীকার না যাওয়ায় আমি বলেছি, আপনারা ভুল যে করেছেন, এটা স্বীকার যেতে হবে। নাহলে, ২৪ ঘণ্টার জন্য আউটলেট বন্ধ থাকবে।

‘আল ভুল স্বীকার গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খুলে দেব। তখন তারা বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছিল।’

আড়ংয়ের ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তিনটি কাপড় একসঙ্গে ধরে বলছিল, এগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাপড়। তখন আমি ট্যাগুলো লুকিয়ে কাপড় তাদের হাতে দিয়ে বলেছি, দেখানতো কোনটি বাজে কাপড়।

‘তখন তাদের এক কর্মী বলছিলেন- দেখেন, এই যে এটা কত বাজে কাপড়। তখন আমি ট্যাগ উঠিয়ে দেখি সাতশ টাকা দামেরটা তেরশ’ টাকা দাম লেখা।’

তিনি বলেন, আড়ংয়ের প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই। তবে দেশি ব্রান্ড যাতে সংশোধন হতে পারে, সেজন্যই কাজ করেছেন তারা।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব কাজ করতে গিয়ে বাড়তি কোনো চাপে নেই তিনি। তবে নিজের বদলির আদেশ ও প্রত্যাহার নিয়ে মন্তব্য করতে চান না এই কর্মকর্তা।

মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, সিস্টেম বদলালেই বদলাবে দেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের মিশন-ভিশন, সেই আঙ্গিকে কাজগুলো করি। জনগণের সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করবেন। কাজেই এখানে দেখতে হবে- আমি একজনকে জরিমানার করার বিষয় নাকি তাকে সংশোধনের বিষয়।’

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার এ পর্যন্ত ৪৬ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে। আমাদের তো আইন-কানুন-বিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই সবকিছু সেই আইন অনুযায়ী করছি। ভোক্তা অধিকারের সহানুভূতিটা সরকারের প্রতি সহানুভূতি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর