বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ “কাঁদ বাংলাদেশ কাঁদো”

ফারুক আহাম্মেদ মোল্লা, বেলজিয়াম: গত ০১/০৬/২০১৮ ইং রোজ শনিবার সন্ধ্যা ৮:৩০ ঘটিকার সময় বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উদ্যোগে, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্সের স্থানীয় আলাউদ্দিন রেস্টুরেন্টের হলে সাবেক ছাত্র লীগ নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হালের সাবেক ভিপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জনাব এডভোকেট আফজাল হোসেন এর সম্মানে এক সংবর্ধনা ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি সহিদুল হক সহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভাটি পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাগীর চৌধুর রতন

এতে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেলজিয়াম এর স্বাবেক সভাপতি ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সম্মানিত উপদেষ্ঠা ড, ফারুক মির্জা, ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও হলেন্ড আওয়ামী লীগের স্বাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্ঠা খোকন শরীফ, সহ সভাপতি বাবু বিধান দেব, সহ সভাপতি বাবু নিরঞ্জন চন্দ্র রয়, যুগ্ম সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামা।

উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের সহ সভাপতি জাহির খান, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মিসেস রাবেয়া জামান,সংগঠক গোলাম জিলানী জোয়েল, ছাড়াও বেলজিয়ামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আওয়ামী পরিবারের সদস্য সদস্যা, ও বেলজিমস্থ বাঙ্গালী কমিউনিটির সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণীর ও বিভিন্ন বয়সের শিশু কিশোরের উপস্থিত ছিল লক্ষনীয়

ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা খোকন শরীফ তার বক্তব্যে, প্রধান অতিথিকে বেলজিয়ামে আসার জন্য ধন্যবাদ প্রদানের পাশাপাশি বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

প্রধান অতিথি ওনার স্মৃতি চারণ মূলক বক্তব্যে বন্ধু রতনের (বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ – সাধারণ সম্পাদক) সাথে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দুজনের সেদিনকার বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বর্ণনার প্রদান করেন।

তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার গত চল্লিশ বছরের লড়াই সংগ্রাম, তারই নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ধারাবাহিক সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন দেশের আজকের এই অবস্থানে আসার পথটি খুব সহজ ও কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা। এর পিছনে অনেক ত্যাগ তিথিক্ষা, অনেক জীবন, অনেক কিছুর বিনিময় ছিল।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও তদপরবর্তি পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যে লোকটি নাহলে এদেশ হত না, ওনাকে হত্যার পর, সেই দেশী বিদেশী খুনি চক্র দেশে তখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যে আমরা তাঁর জন্য আওয়াজ করে কাঁদতেও পারিনি। তাঁর হত্যার বিচার চাইব দূরে থাক, আমরা একটা স্লোগান ও দিতে পারতাম না। আমাদের তখন লিখতে হত “কাঁদ বাংলাদেশ কাঁদো” সাহস করে বলতে পারিনি আমরা আমাদের পিতা হত্যার বিচার চাই।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে আমরা পিতা হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছি। দেশ আজ উন্নয়নের সিঁড়িতে। “তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ সেই খুনীরা বসে নেই। যারা দেশকে জঙ্গিবাদের সার্গ বানিয়েছিল, যারা বাংলা ভাইদের সৃষ্টি করেছিল, এই জঙ্গিদের যারা পুনিশ প্রটোকল দিয়েছিল। যারা ১৫ই ও ২১ শে আগস্ট সৃষ্টি করেছিল। তাই আমাদের আজ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশমাতৃকার স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে এক হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দেশে বিদেশে দলমত নির্বিশেষে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি দেশের তথা বিশ্ব শান্তির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও তার ব্যক্তিগত বিবিধ অবদানের কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভের সহিত বলেন আজ আমরা ক্ষুদ্র ও গরীব দেশ বলে আমাদের নেত্রীর অবদানের যথাযত মূল্যায়ন হচ্ছে না। তিনি পার্বত্য শান্তি চুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যু সহ যত বড় বড় অবদান রেখেছেন – অন্য দেশ হলে এরূপ একটি কাজের জন্য অনেক আগেই তাকে নোবেল পুরুষ্কারে ভূষিত করা হত। অবশ্য তিনি আশা প্রকাশ করেন অদূর ভাবিশ্বতে হয়তো তা বাস্তবায়িত হবে।

তিনি প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বলেন ” আজ বাংলাদেশের যে অবস্থান তার পিছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী তারা হলেন প্রবাসীরা। প্রবশীদদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণেই আজ আমরা পদ্মা সেতুর মত মেঘা প্রকল্পে সাহস করে বিশ্ব ব্যাংকের তোয়াক্ষা না করে বলতে পেরেছি আমরা আমাদের নিজের টাকায় এই সেতু করব এবং তা আমরা করছি।

তিনি দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের দেশের স্বার্থে ধরাবাহিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন, এসব কর্মসূচি চালিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি অত্র সংগঠনের যে কোন গণমুখী কাজে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ওনাকে সংবর্ধনা প্রদানের জন্য বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সবার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন “আমরা পড়ম সৌভাগ্যবান যে জননেত্রী শেখ হাসিনার মত একজন নেত্রী পেয়েছি” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেত্রী তার সব কর্মীদের মনে রাখেন, দীর্ঘদিন পরে দেখা হলেও তিনি সবার নাম সহ মনে রাখেন। সত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি কর্মীদের সময় দেন।সভাপতি -প্রধান অতিথিকে অনুষ্ঠানে এসে সময় দেয়া ও বিভিন্ন স্মৃতি চারণ ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদানের জন্য তার প্রতি সংগঠনের পক্ষথেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সার্ভিক সহযোগিতা করে এই অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও স্বার্থক করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্যে ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহতের জন্য দোয়া করা হয়। ইফতারপূর্ব দোয়া করা হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর