সরকারি স্কুলের জায়গা দখল করে বেসরকারি স্কুল নির্মাণ!

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে বেসরকারি স্কুল নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলার জুনুদপুর গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের পুত্র ও জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সোলায়মান ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত অভিযোগ নোয়াখালী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উপজেলার জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে সোলায়মান ভুঁইয়াগং তাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি থেকে বিগত ১৯০৪ ইং সালে ৩৩ শতাংশ জায়গা স্কুলের নামে দান করেন। বর্তমানে ঐ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ঐ স্কুলে অধ্যয়ন করছে। একই এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্রের কুদৃষ্টি পড়ে ঐ স্কুলের সম্পত্তির উপর।

স্কুলের প্রায় ১২ শতাংশ জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৮টি গাছ কর্তন করে মাটি খুড়ে ঢালাই পিলার দিয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুয়েল, একই এলাকার বাসিন্দা আজাদ, রেজাউল করিম রন্টু, জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করছে। জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন উক্ত কাজে বাধা দিলে দখলদাররা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

পরে তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পালের কাছে দখলদারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সোহেল রানাকে পাঠিয়ে সরেজমিনে পরিমাপ করান। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সোহেল রানা জানান, স্কুলের জায়গাটি পরিমাপ করা হয়। স্কুলের প্রায় ১২ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে।

জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, স্কুলের ৩৩ শতাংশ জায়গাটি ভবন সংলগ্ন দক্ষিণে। স্থানীয় একটি চক্র স্কুলের প্রায় ১২ শতাংশ জায়গা থেকে গাছ কেটে ঢালাই পিলার দিয়ে ভবন নির্মাণ করছে।

এ নিয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে কোন সম্পত্তি খতিয়ান হয়নি। সম্পত্তির খাজনা পরিশোধ করে আসছে জুনুদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সোলায়মান ভুঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করছে। তা স¤পূর্ণ নিয়ম বহির্ভুত। তিনি এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুয়েল জানান, পল্লীমঙ্গল ও জুনুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একই দাগ ও একই খতিয়ানের সম্পত্তি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর