জাকারবার্গ কি ভাবেন বাংলাদেশ নিয়ে ?

নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব ও সার্চ ইঞ্জিন গুগল ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না।

নতুন ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ আইন-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল-এর মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে এনবিআর সূত্র।

খুব ই ভালো উদ্যোগ। তবে কথা হলো বাংলাদেশকে নিয়ে ফেসবুক বা অন্য সব প্রতিষ্ঠান আসলে কতটা ভাবে ?

যদি ভেবেই থাকে ,তাহলে আমার প্রশ্ন – বাংলাদেশে তাদের এতো বড় রেঞ্জের পাবলিশার বা বিনিয়োগকারীরা থাকার পরে ও তারা কেন এখন পর্যন্ত অফিস বা কোনো ধরণের এজেন্ট নিয়োগ দিলেন না। কিংবা যারা ফেসবুকে বিশাল অংকের বিনোয়োগ করে এখন পর্যন্ত সফল নয় , তাদের কোনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে তেমন ভালো কোনো সুরাহা কেন দিতে পারছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ইউটিউবের সাথে পাল্লা দিয়ে তারা ভিডিওর নতুন প্লাটফর্ম তৈরী করে সেখানে ও কতটা সন্তুষ্ট করতে পারছে তার গ্রাহকদের? সেখানে ও ফেসবুক সফল নয়। আরেকটি বিষয় না বললেই নয় , ফেসবুকের যে কোনো কার্যক্রমে গ্রাহক যখন আপিল করছেন তার সঠিক জবাব খুব কম ই এসেছে। তারা গুগলের মতোই কন্টেন্টে আয় করার সুযোগ দিয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পর ই তারা গুগলের মতোই সেখানে ও অনেক বেশি যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের ই ক্ষুদ্র বা মাঝারি বিনিয়োগকারীরা হাপিয়ে উঠেছেন। এছাড়া আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের বিনোয়োগকারীদের।

এ অবস্থায় যদি তারা নতুন ভ্যাট আইনে আসেন তবে স্বাগতম। কিন্তু আমার যতদূর মনে হয় তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না। হয়তো তারা কোনো দিন ই এখানে লোকবল নিয়োগ করা বা অফিস সম্প্রসারণ নিয়ে চিন্তা ও করেন না।

তবে বাংলাদেশে ফেসবুকের একটি টীম থাকা দরকার। যারা যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের এইসব বিনোয়োগকারীদের সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে। তাহলে বর্তমান সময়ে যারা অনলাইন এ অনেক দূর এগিয়ে গেছেন তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর