রাজশাহী ইউপি ভবনে মিলল আটকে রাখা যুবকের লাশ

রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্সের একটি ঘরে আটক থাকা মোফাজ্জল হোসেন (৩০)নামে এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে।

হরিপুর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশটি ঝুলতে দেখেন। চেয়ারম্যানের দাবি, মোফাজ্জল আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত মোফাজ্জল রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

নিহত মোফাজ্জল হোসেন ১০-১২ দিন আগে হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে বিয়ে করেন। পারিবারিকভাবেই মোফাজ্জলের বিয়ে হয়। মোফাজ্জলের শ্বশুরের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি একজন ভ্যানচালক।

ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিলের ভাষ্যমতে, মাত্র কয়েকদিন বিয়ে হলেও মোফাজ্জলের স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। তার স্ত্রী আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দু’দিন আগে মোফাজ্জল স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন।

শনিবার (২৯ নভেম্বর)মোফাজ্জলকে মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যানের কাছে রেখে যান। আজ রবিবার তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়ে দুইপক্ষের লোকজনদের নিয়ে মীমাংসায় বসার কথা ছিল। এ জন্য রাতে ইউপি ভবনের একটি কক্ষেই রাখা হয় মোফাজ্জলকে।

চেয়ারম্যান মুঞ্জিল আরও জানান, রবিবার ভোররাতে জানালা দিয়ে মোফাজ্জলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ। তখন গ্রামপুলিশ তাকে খবর দেন। পরে বিষয়টি তিনি থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, লেপের একটি ছেঁড়া অংশ গলায় পেঁচানো অবস্থায় জানালায় মোফাজ্জলের লাশ ঝুলছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও লাশ নামাননি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেয়া হয়েছে। সিআইডি এসে লাশ নামাবেন।

ওসি বলেন, ঘটনাটি তারা তদন্ত করে দেখছেন। এটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে মোফাজ্জলের পরিবার যেভাবে চায় সেভাবেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার/কে.কে