ভৈরবে ফোনে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে হত্যা, আটক ৩

শাহরিয়া হৃদয়, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ভৈরবে তিন বন্ধু মিলে ফারদিন আলম রুপক নামে একজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে। শহরের ভৈরবপুর এলাকায় আইডিয়াল স্কুলের পিছনে আবু বক্কর মিয়ার বিল্ডিং থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সে ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ী আল্টাটেক সিমেন্টের ডিলার নূরে আলম বিপ্লবের বড় ছেলে।তার বাড়ি নরসিংদী রায়পুরা থানার গরিপুর পূর্বপাড়া গ্রামে।এর পর পর তার তিনবন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।আসামী তিনজন হলেন নিহত রুপকের সহপাটি ভৈরবপুর দ: পাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি (১৭), একই এলাকার শাজাহান পাটোয়ারীর ছেলে মো. আরাফাত পাটোয়ারী(১৬), ভৈরব রাণীবাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী ওবায়দুল কবির খাঁ’র ছেলে রেজাউল কবির খাঁ(১৬)।

নিহতের চাচা সজীব মিয়া জানান, আমার ভাতিজা একজন ভাল ছাত্র ছিল। সে এবার সরকারি ভৈরব কে বি পাইলট মডেল হাই স্কুল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাইন্সে মেট্রিক পরিক্ষায় এ গ্রেড পেয়ে পাস করেছে। গতকাল রাতে তাকে ফোন দিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসামীরা তার সাথে লেখা পড়া করতো। তারা বখাটে ছেলে নেশাগ্রস্থ ছিল। আমি এর বিচারে দাবী জানাচ্ছি।

নিহত রুপকে অন্যান্য সহপাঠিরা জানান, রুপক একজন ভাল ছাত্র ছিল। আসামীদের সাথে কখনো তাকে চলফেরা করতে দেখিনি। কেন বা কি কারণে হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি না। স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগ নেতা আতিক আহমেদ সৌরভ জানান, এই বয়সে একজন আরেকজনকে কেন হত্যা করবে। এর একমাত্র কারণ হতে পারে মাদক সেবন। আসামীদের দেখে মনে হচ্ছে তারা মাদক সেবী। আমি পৌর এলাকার নেতা হিসাবে আমি চাই এর সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে এর মুল কারণ বের করে আসামীদের সাজার ব্যবস্থা করা হোক।

ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার বার্তা বাজারকে জানান, প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী নিহত রুপককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।আসামী তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা তিনজন প্রথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা খুনের সাথে জরিত রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর