বড় ধরনের দুঃসংবাদ টাইগার শিবিরে, ইনজুরিতে মাশরাফি
বিশ্বকাপের পূর্ব মুহুর্তে বাংলাদেশের ইনজুরির মিছিলটা বড়ই হচ্ছে।ইনজুরি কাটিয়ে সাকিব দলে ফিরলেও বড় ধরনের হতাশার খবর দিলেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফি বিন মর্তুজা।মঙ্গলবার (২৮ মে) নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমে ইনজুরির শিকার হন মাশরাফি।
গতকালের ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারের সময়ে বা পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মাশরাফি। আর তাতে মাঠের বাইরে চলে যান ওই ওভার পরই।
গত ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় মাশরাফি পেয়েছিলেন ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। এবার অন্য পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়েও চোট পেলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে টাইগার সমর্থকদের জন্য যেটা বড় দুঃসংবাদ।
গতকাল মাঠে নামার কথা ছিলো না মাশরাফির।তামিম ইনজুরিতে থাকায় মাঠে নামেন মাশরাফি।তার পরিকল্পনা ছিল সর্বোচ্চ চার অথবা পাঁচ ওভার করার। কিন্তু রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির দ্রুত রান তোলায় লাগাম টানতেই ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মাশরাফি। এই ওভারে বোলিংয়ে এসেই চোটে পড়েন তিনি।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, ‘বেশিরভাগ সময়ে আমি প্রথম এক-দুই ওভারের মধ্যে সমস্যা অনুভব করি। কিন্তু তখন যদি কিছু না হয়, তবে পরে আর সমস্যা হয় না। আজও (মঙ্গলবার) হয়নি। তবে ষষ্ঠ ওভারে এসে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে। আমি চার অথবা পাঁচ ওভার করেই আর বল করতাম না। কিন্তু সেই সময়ে রোহিত ও কোহলি দুজনই খুব দ্রুত রান তুলছিল। আমার মনে হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বোলিং প্র্যাকটিসটা করা দরকার।’
এ ধরনের ইনজুরিতে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় দিনের বিশ্রাম দেন ফিজিও। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। হাতে আছে তিনদিনের মতো সময়।আর এই সময় মাশরাফির ইনজুরি দলের জন্য অকল্যানকর।অন্যদিকে আশার খবর হলো সুস্থ্য আছেন তামিম।সবকিছু ঠিক থাকলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওপেন করতে দেখা যাবে তামিমকে।ফিরতে মরিয়া মাশরাফিও।