সিরাজগঞ্জে সেতু নির্মাণের দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও হয়নি রাস্তা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের পুরানটেপরী গ্রামের একটি খালে ২০০০ সালের দিকে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যায়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় সেতুটি আজ তার যৌবন হারিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। এতে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২০০০ সালের দিকে শাহজাদপুর উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সেতুটি নির্মাণ করে। সেই থেকে গত ১৮ বছরেও পরিত্যক্ত এ সেতুটির দু‘পাশে কোন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ইতিমধ্যেই সেতুটির রেলিং ভেঙ্গে পড়ছে। অনেক স্থানের খোয়া বালি খসে খসে পড়েছে।

সরজমিনে গেলে দেখা যায়,সেতুটি দিয়ে যাতায়াত না করে স্থানীয়রা কাপড় শুকানোর নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহৃত করছে। পুরান টেপরী গ্রামের জুলফিকার আলী জানান, সেতুটির দু‘পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে এ এলাকার ১৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় চর-নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ,সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা,সাইদুল ইসলাম,কেয়া খাতুন এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.আব্দুস সেলিম জানান,চর-নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নরিনা হাইস্কুল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ,সাতবাড়িয়া কারিগরি কলেজ ও চর-নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এছাড়া চর-নরিনা বাজার,নরিনা বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার ও তালগাছি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিদিন ও সপ্তাহের দুইদিন যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেতুটির নিচ দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে পার হতে হয়। তাই অবিলম্বে এ সেতুটির দু‘পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমূল হুসেইন বলছেন,বিষয়টি অবগত হয়েছি,খুব দ্রুত সেতুটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর